সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদ দাতাঃ-
খুবই ইনটারেস্টিং পরিসংখ্যান। আমাদের মনে হয় এই পরিসংখ্যানটুকুই ভারতবর্ষের মূল ভিত। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সাংসাদদের ভিতর ৩০% সাংসদই ছিল নানাবিধ ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত আসামী। কোর্টে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। মামলা শেষ না হওয়া অব্দি কোন অভিযুক্তকেই অপরাধী শাব্যস্ত করা যায় না। তেমনি তিনি নিরপরাধ, বলা যায় না এমন কথাও। এই ৩০% সাংসদ তাঁরাই যাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে খুন জখম ধর্ষণ ইত্যাদি নানান অপরাধ বিচারাধীন। ২০১৪ সালের নির্বাচনী ভাষণে হবু প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্য জনসভায় প্রতিশ্রুতি দিলেন। তাঁকে ক্ষমতায় বসালে তিনি সকল অভিযুক্ত সাংসদ বিধায়ক কাউন্সিলার পঞ্চায়েত সদস্যদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। এমনকি কোন অভিযুক্ত ব্যক্তি যাতে তাঁর দলের প্রার্থী হিসাবে টিকিট না পায়। সেটাও তিনি নিশ্চিত করবেন। অর্থাৎ আমরা বিশ্বাস করলাম দেশকে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন দেওয়ায় তিনি ভারতবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পরের ইতিহাস আরও রোমাঞ্চকর। সেই ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচিত সাংসদদের ভিতরে নানাবিধ ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত আসামীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হলো ৩৪%! এরপর পালাবদলের শাসন আমল শুরু হলো। ২০১৯ সালে পাঁচ বছর রাজত্ব পূর্ণ করে পুনরায় লোকসভা নির্বাচন। ২০১৯-এর সেই লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সাংসদদের ভিতর অভিযুক্ত অপরাধীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হলো ৪৩%! এবং সব মামালাই চলছে চলবে। ঝুলে রয়েছে। ঝুলে থাকবে। এমনইভাবে চলছে পটিয়া পৌরসদর ৭ নং ওয়ার্ড বৈলতলী রোড় হাজী আবদুস সাত্তার জামে মসজিদ এর এতিমখানার পূর্ণজ্ঞ্য ভবন নির্মাণ সাতকাহন কাহিনি।এনিয়ে পটিয়া আদালত, থানা, কাউন্সিলর,মেয়র,জুডিশিয়াল কোর্ট, গ্রাম সালিশ, চট্টগ্রাম আদালত সব মিলিয়ে সাতকাহন। এর শেষ কোথায় সাধারণ মোসল্লীদের প্রশ্ন। সুএে জানাযায়, পটিয়া পৌরসদরের বৈলতলী রোডস্থ আলম শাহ সড়কে হাজী আবদুস ছত্তার জামে মসজিদের এতিমখানা নির্মানে বিরম্ভনার শিকার হয়েছে মসজিদ কমিটি। এতিমখানার জন্য ক্রয়কৃত জায়গা পাশ্ববর্তী ভূমি মালিক মুছাগং দখল করতে চাইলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ্এ বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য পটিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর গোফরান রানা, শফিকুর রহমান, কামাল উদ্দিন বেলাল, সাবেক কমিশনার হাসান মুরাদ, শোভনদন্ডী ইউপি আ.লীগ সভাপতি আবুল হাসান খোকন ও মুজিবুল হক চৌধুরী নবাবসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উভয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে ভূমি পরিমাপ পূর্বক এতিমখানার জন্য ক্রয়কৃত জায়গার সীমানা চিহ্নিত করে। পার্শ্ববর্তী মুছাদের জায়গাতেও সীমানা চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে এতিমখানার জায়গায় ও মুছাদের জায়গায় নিজ নিজ খরচে বাউন্ডারী ওয়াল দিয়ে উভয়পক্ষ ভূমি বুঝে নেয়। অতঃপর ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল এতিমখানা নির্মানের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন পটিয়া পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল। এ সংক্রান্তে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতিমখানার পার্শ্বের জায়গা ক্রেতা মুছাগং বুঝে নিয়ে মুছা প্রবাসে চলে যায়। কিন্তু এরপর সালিশকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মুছার স্ত্রী ফারজানা আকতার এতিমখানার জায়গা দখল করতে চাইলে যত বিপত্তি দেখা দেয়। এ নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর মসজিদের মোতায়াল্লী হাজী আবুল কালাম পটিয়া থানায় একটি জিডি করেন। এর আগে ফারজানা আকতার মসজিদ কমিটির লোকজনকে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে গত ১৩ ডিসেম্বর পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং সি.আর-৫৫৯/২১ ইং। মামলাটি পিবিআই চট্টগ্রাম তদন্ত করছ্।ে গত ৮ জানুয়ারি গভীর রাতে একটি কিশোর গ্যাং চক্র এতিমখানার বাউন্ডারি ওয়াল ও ঘর ভাংচুর করে। এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির লোকজন মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। এছাড়া গত ১০ জানুয়ারি আবুল কালাম বাদী হয়ে ফারজানা আকতার সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। গত ১৩ জানুয়ারি মসজিদ কমিটি এতিমখানার জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করলে পটিয়া সিনিয়র ১ম সহকারী জর্জ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গত ১৮ জানুয়ারি উক্ত জায়গায় উভয়পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। ব্যাপারে মসজিদ কমিটির মোতায়াল্লী হাজী আবুল কালাম জানান, স্থানীয় মরহুম দুদু মিয়ার পুুত্র মাহমুদুর রহমান থেকে প্রবাসী হাজী আবুল বশর মসজিদের পার্শ্বে এতিমখানা নির্মানের জন্য ২.৪০ শতক জায়গা ক্রয় করার পর মুছাগং উক্ত জায়গা দখল করতে চাইলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ নিষ্পত্তি করে দেয়ার পরও মুছার স্ত্রী ফারজানা আকতার অসৎ উদ্দেশ্যে এতিমখানার জায়গাটি দখল করতে চাইলে এ বিপত্তি দেখা দিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।