সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
চোঁখে ঘুম থাকায় ড্রাইভার বিশ্রামে গিয়ে তার কিশোর বয়সী হেলপার দিয়ে চালানো হয় সার বোঝাই ট্রাক। পরে নিন্ত্রন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সামনের অংশটি ধুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ট্রাকের ভিতরে আটকে পড়ে আটকা পরে হেলপার তোতা। আমতলী ও পটুয়াখালীর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘন্টা অভিযান চালিয়ে দরজা কেঁটে ট্রাকের ভিতর থেকে জীবিত হেলপার তোতাকে অবস্থায় উদ্ধার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী- পটুয়াখালী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ভোররাত ৪টার দিকে।
জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় যশোরের নওয়াপাড়া থেকে মা বাবার দোয়া নামক ওই সার বোঝাই ট্রাকটি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। লেবুখালী পায়রা সেতুটি পার হয়ে ট্রাক ড্রাইভার তুহিনের সঙ্গে থাকা ১৪ বছরের বালক হেলপার তোতাকে ট্রাক চালাতে দিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়েন। কিশোর হেলপার তোতা গন্তব্য গলাচিপার পথ চিনতে না পেরে আমতলীর দিকে চালিয়ে আসে। আমতলী শহরের কাছাকাছি উশ্শিতলা নামক স্থানে পৌছলে ঘুম চোঁখে ট্রাকটি চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে গাছের সাথে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে হেলপার তোতা ট্রাকের মধ্যে আটকে যায়।
সংবাদ পেয়ে আমতলীর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে ট্রাক ড্রাইভার তুহিনকে উদ্ধার করে। হেলপার তোতাকে বের করতে সামনের অংশ খুলতে আধুনিক সরঞ্জাম না থাকায় তারা পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম টানা এক ঘণ্টারও বেশী সময় ধরে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ট্রাকের দরজা কেঁটে হেলপার তোতাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে আহত হেলপার তোতাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আহত হেলপারকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছি।দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।