রিপোর্টারঃসৈয়দ সালমান হোসেন:
২০০২ সালে মাদারীপুরের রাজৈরে গৃহবধু রাধা রানী বৈদ্যকে অপহরণের পর গলাকেটে হত্যা মামলায় ৫ আসামীকে মৃত্যুদন্ড ও প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদানের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লাইলাতুল ফেরদাউস এই আদেশ দেন। এ সময় সাজাপ্রাপ্ত ৪ আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর এক আসামী মামলার পরপরই দেশত্যাগ করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, অশোক বৈদ্য, নরেন বৈরাগী, কালু বিশ্বাস, তরুনী বৈদ্য, বিজয় বেপারী, গৌরাঙ্গ বৈদ্য। এদের মধ্যে গৌরাঙ্গ বৈদ্য মামলা চলাকালে মৃত্যুবরণ করেন এবং আসামী বিজয় বেপারী পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৪ অক্টোবর মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম এলাকার গুরুপদ বৈদ্যর স্ত্রী রাধা রানী বৈদ্যকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রথমে অপহরণ করা হয়। পরেরদিন রাধা রানীর ছেলে বিষ্ণপদ বৈদ্য ৬ জনকে আসামী করে রাজৈর থানায় একটি অপহরণ মামলা করে। মামলার ১১দিন পরে পাখুল্লা বিল থেকে রাধা রানী বৈদ্যর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে রাজৈর থানা পুলিশ। পরে ২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরমধ্যে মামলা চলাকালীন সময়ে গৌরাঙ্গা বৈদ্য নামের আসামী মারা যান। পরে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত বাকি ৫ আসামীর ফাঁসি ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় ৪জন উপস্থিত থাকলেও আসামী বিজয় বেপারী পলাতক রয়েছে।
দীর্ঘ ২০ বছর পরে মামলায় রায়ে খুশি বাদীর পরিবার।পাশাপাশি দ্রুত মৃত্যুদন্ডের আদেশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি সিদ্দিকুর রহমান সিং রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি দ্রুত রায় কার্যকর করার কথা জানান।