

মোঃ বাবলু মল্লিক, কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি ঃ
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাষিরা বোরো চাষাবাদকে ঘিরে মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে মহাকর্মযজ্ঞ। জমি প্রস্থুত, বীজতলা থেকে চারা তোলা, জমিতে চারা লাগানো নিয়ে সকাল সন্ধ্যা চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এ পর্যন্ত উপজেলার ৮০ ভাগ জমিতে চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে। এতে এ বছর বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। দাম
কৃষিই শিল্পে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সিংহভাগ জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। পিছিয়ে পড়া এই জনপদের সামগ্রিক অর্থনীতি কৃষিকে ঘিরেই আবর্তিত। পূর্ব পুরুষের এই পেশাকে আঁকড়েই সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখে থাকেন এখানকার কৃষিজীবী মানুষেরা। বোরো আবাদে কৃষাণ-কৃষাণীর ব্যস্ততার নানা ছবি এখানকার মাঠে মাঠে। জমি প্রস্তুত, বীজতলা থেকে চারা তোলা, জমিতে চারা লাগানো নিয়ে সকাল সন্ধ্যা চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।। উৎপাদিত ফসলের কাঙ্খিত দাম পাওয়া না পাওয়ার উপরই নির্ভর করে তাদের ভাল থাকা কিংবা মন্দ থাকা।
ধান এখানকার প্রধান ফসল। বিশেষ কোনো দুর্যোগ দুর্বিপাক না হলে, চাষের উপযুক্ত মাটি, আবহাওয়াসহ অনুকুল পারিপার্শ্বিকতায় এ উপজেলায় বরাবরই ধানের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। দুই বছর আগের মন্দা বাজার দরের তুলনায় সাম্প্রতিক বছরে ধানের ন্যায্য দাম পাওয়ার ফলে ধান চাষে নিরুৎসাহী মনোভাব কাটিয়ে ভালো লাভের আশায় চাষিরা এবারও নব উদ্যোমে বোরো চাষে মেতে উঠেছে। ভালো ফলন পেতে জমিতে সময় মতো চারা লাগানোর বিকল্প নেই। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের ফলে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াসহ জমিতে পানি জমে যাওয়ায় এবার আবাদে দেরি হয়ে গেছে। তাই দ্রুত চারা লাগানো শেষ করতে নাওয়া খাওয়া ভুলে সবাই খেটে চলেছে। ইতিমধ্যে এখানে লক্ষমাত্রার ৬০ থেকে ৭০ ভাগ জমিতে চারা লাগানো সম্পন্ন হয়েছে।
কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবির কুমার বিশ্বাস বলেন, বোরো চাষে প্রযুক্তিগত নানা সহায়তার পাশাপাশি সরকারের কৃষি প্রনোদনার আওতায় উপজেলার ৫ হাজার কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে কৃষকরা অনেক ব্যস্ত সময় পার করছে। আমরা আশা করছি এবছর বোরো আবাদ ও উৎপাদন বাড়বে।
উপজেলায় তালিকাভুক্ত বোরো চাষি প্রায় ৩০ হাজার জন। এবছর উপজেলায় ১৬ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ থেকে মোট ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৫২৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।। বিশেষ কোনো দুর্যোগ দুর্বিপাক না হলে, চাষের উপযুক্ত মাটি, আবহাওয়াসহ অনুকুল পারিপার্শ্বিকতায় ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে সাধারন কৃষকরা।