

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ-
পটিয়া থানা পুলিশ ও আইন আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দখলবাজ সন্ত্রাসীরা পটিয়া পৌর সদরের আব্দুস ছত্তার জামে মসজিদের এতিমখানা পুনরায় দখলের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় এলাকার লোকজন মসজিদের মুসল্লীদের প্রতিরোধের মুখে এতিমখানার ভূমি দখলে ব্যর্থ হয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ বিষয় নিয়ে মসজিদ কমিটির মোতায়াল্লী হাজী আবুল কালাম বাদী হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) পটিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী সহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। থানার দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পটিয়া পৌরসদরের বৈলতলী রোডস্থ আলম শাহ সড়কের পাশে অবস্থিত হাজী আব্দুস ছত্তার জামে মসজিদের অধীন এতিমখানা ও হেফজখানা নির্মাণে ভাটিখাইন এলাকার মুছার স্ত্রী ফারজানা ও রমজান আলীসহ তাদের নিয়োগকৃত কিশোর গ্যাং চক্রের একটি সন্ত্রাসী দল বাধা দিয়ে আসছে। ফারজানা আক্তারের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা বিগত ৮ জানুয়ারী গভীর রাতে এতিমখানার ঘর ও ভাউন্ডারী ওয়াল ভাংচুর করে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ বিষয় নিয়ে পটিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা ও পটিয়া থানায় জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। এরপরেও আইন আদালতকে উপেক্ষা করে ফারজানা আকতার ও রমজান আলীর নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল গত ১১ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ৯ টায় এতিমখানার ভূমি অবৈধভাবে দখল করতে গেলে স্থানীয় মুসল্লী ও জনতার তাড়া খেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। মসজিদ কমিটির লোকজন এতিমখানা রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মসজিদের মোতায়াল্লী আবু ফরিদ অভিযোগ করে বলেন, দৃস্যরানী মতন ফারজানা তার গং একেক সময়ে রুপ পরিবর্তন করে কিশোর গ্যাং নিয়ে মসজিদ ও এতিম খানার জায়গা দখল নিতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে বিষয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় ধর্মমন্ত্রী এবং পটিয়ার এমপি হুইপ আলহাজ্ব শামসুল হক চৌধুরীর সুদৃষ্টি কামনা করেন। এছাড়াও ফারজানা অপরাধ বন্ধ করতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াী দাবি জানান।