

রিপোর্টার কলকাতা থেকে শম্পা দাস ও সমরেশ রায়:
পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়ন(Alutuc অনুমোদিত), আজ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় বিক্ষোভ দেখালেন। আশা কর্মীদের সরকারী স্বাস্থ্য কর্মীর স্বীকৃতি, সমস্ত বকেয়া ইন্সেন্টিভ প্রদান, বেতন বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত কাজের অতিরিক্ত পারিশ্রমিকের দাবিতে রাজভবন, স্বাস্থ্য ভবন ও নবান্ন অভিযান, সভানেত্রী পাপিয়া অধিকারী নেতৃত্বে, তারা জানান এখন পর্যন্ত ৬০০০০ আশা কর্মী বিভিন্ন জেলা জুড়ে কাজ করছে। প্রত্যেক আশাকর্মীর পাওনা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে ২০০, ৫০০ ,৩০০ টাকা করে মাসে একাউন্টে, অথচ তাদের কোন ছুটি নাই অন্যান্য সরকারি অফিসের মতো। কোভিডে নিজেদের জীবনে রিক্স নিয়ে কাজ করতে হয়েছে অথচ রাজ্য সরকার তাদের পাওনা টাকা দিচ্ছে না তারা জানান আমরা মাইনে না পেলে চলবে কী করে আমাদের বাড়িতে ছেলে মেয়ে আছে। তাই আজ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার আশা কর্মী জমায়েত হয়ে, বেলা একটার সময় মিছিল শুরু করেন মিছিল এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্ম তলায় পৌঁছালে রাস্তার মাঝখানে বসে পড়েন। এবং সেখানে তাদের পান্ডুলিপি পরান। সমস্ত রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া প্রায় চলাচল অচল হয়ে যায় । তারা জানান আমাদের পাওনা অবিলম্বে মিটাতে হবে আজ তারা ১৫ দফা দাবি নিয়ে এই বিক্ষোভ করেন। ১, আমাদের ন্যূনতম মাইনে ২১ হাজার টাকা করতে হবে । ২, কর্মরত অবস্থায় কোনো কর্মীর মৃত্যু হলে তার পরিবারের একজনকে চাকরি এবং এককালীন ৫ লক্ষ টাকা সাহায্য দিতে হবে। ৩, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিতে হবে ১৪, বিভিন্ন জেলায় ৮ থেকে ৯ মাসের বকেয়া ইন্সেন্টিভ অবিলম্বে দিতে হবে। ৫, কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় ও পারিশ্রমিক না দিয়ে একটার পর একটা কাজ চাপানো চলবে না । ৬, গুরুতর কোনো অসুস্থতায় কাজে যেতে না পারলে তার ফিক্সট ভাতা কাটা চলবে না। ৭, আশা কর্মীদের মাসিক উৎসাহ ভাতা আটটি হেডে বিভক্ত করা চলবে না ।৮, কোভিড ১৯ কাজের জন্য আশা কর্মীদের অতিরিক্ত মাসিক এক হাজার টাকা করে দিতে হবে । ৯, ফরমেট প্রক্রিয়া বাতিল করে ফিক্স বেতন চালু করতে হবে। ১০, সকল আশা কর্মীদের পার্মানেন্ট করতে হবে , অন্যান্য আরো দাবি রাখেন , পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলা থেকে আশা কর্মীরা একটি কথাই বলেন যদি সরকার আমাদের দিকে না তাকায় তবে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো, আমরা কাজ করেছি আমাদের পাওনা অবিলম্বে মিটাতে হবে।