

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কালিমা ভরা এই হৃদয়ের মানুষটি হলেন রফিকুল ইসলাম প্রিন্স। যার সাথে সাধারণ শব্দটা থেকে অসাধারণ শব্দটা অধিক মানানসই। বাল্যকাল থেকেই তার চরিত্র প্রকৃতি আর পাঁচটা বালকের মতো ছিলেন না। পরিশ্রমী এবং মেধাবী হয়ে সফলতার সূর্য ছিনিয়ে আনার গল্পটি লেখা শুরু করেছিলেন বাল্যকালের ঐ খেলার সময়গুলোতে। যখন তার সঙ্গিরা ভীর জমাতো মাঠের চত্বর জুড়ে! সেই গল্পটি আজ অবধি চলছে। বাড়ছে তার পর্ব, বাড়ছে প্রাপ্তি।
শিক্ষা জীবন এবং কর্মজীবন একসঙ্গে শুরু করার উদ্যোগটিই তাকে আজ একজন রফিকুল ইসলাম প্রিন্স বানাতে সক্ষম হয়েছে।
লোকে বলে গ্রাজুয়েশন শেষ না করে চাকুরী মিলে না। কিন্তু একজন রফিকুল ইসলাম প্রিন্স গ্রাজুয়েশন শেষ করার বহুবছর আগেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন হাজার জনের কর্মক্ষেত্র তৈরি করার। কর্ম জীবনে রফিকুল ইসলাম প্রিন্স একজন দক্ষ আইনজীবী এবং সফল ব্যবসায়ী।
এখানেও বিরতি আছে। শুধু কি আইন শাস্ত্রই তাকে টেনেছিলো? মোটেও না! তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি অনার্স এর পাশাপাশি একই সাথে বাংলা এবং আরবীতেও অনার্স সম্পন্ন করা। যে মানুষটা পড়তে এবং গড়তে ভালোবাসে সে কি করে না চাইবে জাতিকে গড়তে! এত ব্যস্ততম জীবনপথে কোথাও একটু বিশ্রামের জায়গা মিললেই মস্তিষ্ক জাগ্রত হয় ভিন্ন আঙ্গিকে। যখন ঘুমন্ত শহরের অলিতে গলিতে কুকুরগুলো নীরব আকাশের দিকে তাকিয়ে হাক-ডাক করে তখন জাগ্রত হয় তার কলম। একজন লেখকের কলম!
লেখক শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে একরাশ মুগ্ধতা এবং শ্রদ্ধা। এই মুগ্ধতা এবং শ্রদ্ধা জড়িয়ে আছে রফিকুল ইসলাম প্রিন্সের ব্যক্তিত্ব জুড়ে।
তার শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব মুগ্ধ করেছে শত মানুষের মন। আকাশের মতো বিশাল উদার এবং হীরকের মতো স্বচ্ছ তার সামাজিক প্রোফাইল। ব্যক্তিত্ব বলতে আমরা মানুষের সকল চারিত্রিক গুণাগুণের সমাহার বুঝতে পারি, যা সেই ব্যক্তির আচরণ সম্পর্কে একটি পুর্ণ ধারণার সৃষ্টি করে।
একজন ব্যক্তিকে সবচেয়ে বেশি জানা বোঝা যায় তার কর্ম এবং বিনয়ী মনোভাবের মাধ্যমে। এই সঙ্গাটা রফিকুল ইসলাম প্রিন্সকে একজন আইজীবী এবং ব্যবসায়ীর পাশাপাশি একজন লেখক হিসেবে গড়ে ওঠার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ছোটোবেলা থেকে ছোটো ছোটো বাক্য লিখে পাঠ্যবইয়ে জুড়ে দেয়া ছেলেটা আজ এইপর্যন্ত দশটি বইয়ের জনক। তার লেখা প্রকাশিত বইগুলো- গল্পগুলো পৃথিবীর, আমরা সবাই একসাথে একা, মৃত সৈনিকের বনবাস, সীমান্ত, জন্মভূমি, রবীন্দ্রনাথের সেই কলম, চেতনায় একাত্তর, স্বপ্নদ্বীপ -১, স্বপ্নদ্বী-২, রঙিনপ্রজাপতি।
এগুলো সৃষ্টি করতে গিয়ে বারবার নতুন রূপে সৃষ্টি হয়েছে তার মানসিকতা। সমাজের এত সাহিত্য শিল্প আর যত সৃজনশীলতা সবকিছু জন্মের পিছনে একজন প্রকৃত লেখকের দায় থাকে, এটা তার ব্যক্তিগত বিশ্বাস। দেশের প্রতি দশের প্রতি সেই দায় থেকেই লেখক লিখে যাচ্ছে রাতদিনের বিশ্রামে পড়ে থাকা ছোট্ট সময়গুলোতে। একদিন তার আইনপেশার অবসান ঘটবে, ছুটি নিবে হয়তো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকেও। কিন্তু পাঠকদের হাত থেকে একজন লেখকের কখনো ছুটি হয় না। তার লেখক জীবন দীর্ঘ হবে, আরো দীর্ঘ! সত্যিই, প্রকৃতপক্ষে একজন লেখকের কোনো ছুটির দিন থাকতে নেই। লেখকরা দুই ভাবে কাজ করেন, পেশাদার এবং অপেশাদার। মানে অর্থের জন্য বা অর্থ ছাড়া। লেখক রফিকুল ইসলাম প্রিন্স ব্যক্তিজীবনের যত পেশা সব একসূত্রে বেধে লেখক জীবনে এসেছেন একজন অপেশাদার হিসেবে। এখান থেকে কোনো অর্থ সে গ্রহণ করেন না। বরং, অর্থহীন কাজ করে চলেছেন পাঠকদের ভালোবাসার জন্য। তার এই দৃষ্টিভঙ্গিতে সে যে আসলেই সফল হয়েছেন তার প্রমাণ আমরা সচক্ষেই দেখতে পাই। এত মানুষের ভালোবাসা, এত মানুষের চাওয়া পাওয়া, নির্ভয় এবং ভরসার স্থান হয়েছে সে!
পৃথিবীতে সবাই নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করে যেতে পারে না। আমরা আশাবাদী রফিকুল ইসলাম প্রিন্স সেই কাজটি খুব নিপুণ ভাবেই করে যাবেন।