

রিপোর্টারঃসৈয়দ সালমান হোসেন:
আম বাংলাদেশের জাতীয় ফল না হলেও ফলের রাজা হিসেবে দখলেই আছে।আমই আমাদের দেশের খুবই জনপ্রিয় একটি ফল।রসালো ফল আম কাঁচা অথবা পাকা তা সমান পছন্দেরই।বসন্তের আগমনিতে আমের মুকুলের দেখা মিলেছে গাছের শাখায় শাখায়।গাছের ডালে বসন্তের হিমেল হাওয়ায় দুলছে আমের মুকুল।
পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার লাইনগুলো বাস্তবে রূপ নিতে বাকি রয়েছে মাত্র কয়েক মাস।তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে আম গাছ গুলোতে।মাদারীপুরের ডাসারে অনেক আম গাছে ফুটছে আমের মুকুল।চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই আমের মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।
বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ।যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে তুলে।মুকুলের পরাগ রেনুকে ঘিরে মৌমাছিরা ভীড় করছে আম গাছের ডালে ডালে।পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল।
হরেক রকম আমের জন্য বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল প্রসিদ্ধ হলেও এখন মাদারীপুর অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বাহারি আমের চাষ করা হচ্ছে।এদিকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নিজ বাড়ি,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আশপাশ, সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি অ্যান্ড উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,ডি.কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমি অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের পাশজুড়ে দেখা যায় রকমারি আমের গাছ।আর গাছের ডালে ডালে ফুটেছে আমের মুকুল।
তবে আমের ভালো ফলন নির্ভর করে প্রকৃতির ওপর।অনুকূল আবহাওয়া আর আমের মুকুল ঝরে পরা রোধ করাটা খুবই জরুরি।আমের গুটি ধরে রাখা গেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ডাসারের স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ সাঈদ হোসেন বলেন,প্রায় দুই সপ্তাহ খানেক আগে থেকে আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে।বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে।
সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম বলেন,মুকুল আসা ও ফল ধরার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাঙিক্ষত ফলন পেতে এ সময় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।তিনি বলেন,সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে আমের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।আম গাছে সঠিক সময়ে ও সঠিক মাত্রায় সার, সেচ, পোকামাকড়, ছত্রাক- রোগবালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমের ফুল ও গুটি ঝরা রোধ করা যায়।