

শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে র্দূবৃত্তের দেয়া আগুনে পোড়ছে ভাওয়ালের বন। আগুনে পোড়ে যাচ্ছে বনের কপিচ গাছ। একই সাথে পোড়ছে পোকা মাকর,লতা গুল্ম। আগুনের তাপে ঝলশে যাচ্ছে উঁচু গাছের ঢাল পাতা। গত এক সপ্তাহ ধরে র্দূবৃত্তরা বিভিন্ন স্থানে বনে আগুন দিচ্ছে। বনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বিন্দুবাড়ি,রাথুরা সহ বিভিন্ন স্থানে।
জানাযায়, প্রতি বছরই এক শ্রেণীর র্দূবৃত্ত ভাওয়ালের বনে আগুন দিয়ে থাকে। ফালগুন চৈত্র মাসে গজারী গাছের পাতা ঝড়ে যায়। পাতার স্তুপে দেয়া হয় আগুন। আগুনে পোড়ে যায় বনের লতা পাতা,কপিচ বন। ঝলশে যায় উঁচু গাছের ঢাল পাতা। আগুনে পোড়ার ফলে শুকিয়ে যায় বনের গজারীর কপিচ। প্রতিবছরই নতুন করে গজানো কপিচ গুলো ২-৩ ফুট উঁচু হয়ে উঠে। আবার পোড়ানো হয়। ফলে নতুন করে গজারী গাছ জন্মাতে পারে না। পোড়ে যাওয়া শুকনো কপিচ গুলো র্দূবৃত্তরা লাকড়ী হিসেবে কেটে নেয়।
এভাবে বছরের পর বছর ধরে চলছে গজারী বন ধ্বংশের প্রকৃয়া। আগুনে বনে থাকা পোকা মাকড়, কীট পতঙ্গ পোড়ে যায়। এছাড়া মরে যায় বনের উরবরতা বৃদ্দিতে সহায়ক কেচু। নষ্ট হয়ে যায় পশু পাখির আবাস স্থল। বনের ভেতরের ঝড়া পাতা পোড়ে ফেলায় বনের মাটির উরবরতা হ্রাস পাচ্ছে। মাটির উপরের স্তর পোড়ে যাওয়ায় গজাতে পারেনা নতুন গজারী কপিচ, লতা,গুল্ম।
একসময় ভাওয়ালের বনে থাকতো বাঘ,শুকর,শিয়াল,বানর,হনুমান,সজারু,বন মোরগ,বেজী, খেকশিয়াল, টিয়া,ময়না,ঘুঘু,শালিক,বক,বাবুই,সহ বিভিন্ন পশু পাখি। বনের গভীরতা কমে যাওয়ায় এবং বনাঞ্চলে লোক বসতী বেড়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে পশুপাখির আবাস স্থল। ফলে ভাওয়ালের বনের বন্য প্রাণী এখন আর চোখে পড়ে না।
গত এক সপ্তাহ ধরেই র্দূবৃত্তরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বনে আগুন চিচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবছরই এভাবে ফালগুন-চৈত্র মাসে গজারী পাত ঝড়লে বনে আগুন দেয়া হয়। বন পোড়ানোর জন্য কোন আইন গত ব্যবস্থা না নেয়ায় বছরের পর বছর ধরে চলছে বন পোড়ানোর অপকর্ম।
এব্যাপরে শ্রীপুর রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মো. বজলুর রহমান বলেন, আগুন লাগার খবর পেলেই তাৎক্ষনিক ভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়। কারা আগুন লাগাচ্ছে তাদের খুঁজে বের করে আইন গতব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা বিভাগিয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল করিম বলেন, বলেন ,বনে আগুন দেয়া গুরুত্বর অপরাধ। রেঞ্জ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।