

সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলীতে বেহালা-শানুর বাজার ব্রিজ ভেঙ্গে খালে পরে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ সহ ৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।এই এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় প্রয়োজনের তাগিদে বিকল্প পথ হিসেবে ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে মানুষ।
শনিবার (১৯ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে হঠাৎ ব্রিজটি ভেঙে পড়ে যায়।এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় প্রকৌশলী বিভাগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের বেহালা-শানুর বাজার খালের ওপর ব্রিজটি প্রায় ২০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। এরপর থেকে আর কোনো সংস্কার হয়নি।এই ব্রিজটি দিয়ে তালতলী উপজেলা সদরসহ জেলা শহরে ঐ এলাকার প্রায় ১০ গ্রামের প্রায় ৮ হাজার গ্রামবাসীর চলাচল করে।একই সঙ্গে এবং বেহালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া করে। ব্রিজটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় লোহার এঙ্গেলগুলো লোনা পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় জনসাধারণ ও স্কুল শিক্ষার্থীদের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ব্যাহত হচ্ছে তাদের লেখাপড়া। এছাড়াও ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকায় পারাপার করছে মানুষ।
এদিকে রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরের দিকে দেখা যায়,ব্রিজটি সম্পূর্ণ ধসে খালের পানির মধ্যে পড়ে আছে।আর ব্রিজটির দুই পাড়ে স্কুল শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা হাটবাজারে যাওয়ার জন্য পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।পারাপারের জন্য ঝুঁকি নিয়েই ডিঙি নৌকায় খাল পার হচ্ছেন।ওই দুই ইউনিয়নের ৮ হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য এই ব্রিজটিই একমাত্র মাধ্যম।
শানুর বাজার প্রতিষ্ঠাতা শানু হাওলাদার বলেন,ব্রিজের পাশে আমার বাসা রাত ১০ টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ পাই।এরপরে গিয়ে দেখি ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়।তিনি আরও বলেন, এই ব্রিজটি প্রায় ১৫ বছরেও বেশি সময় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পরে আছে।স্থানীয়রা সংস্কার করে দীর্ঘদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছে।নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য একাধিকবার আবেদন করা হলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রকৌশলী বিভাগ।এলাকার মানুষের ভোগান্তি বিবেচনা করে এখানে দ্রুত নতুন একটি সেতু নির্মাণ হওয়া দরকার।
এলাকার মাদব চন্দ্র দেবনাথ ও আঃ রশীদ বলেন,বাজারের কাজ শেষ করে রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য ব্রিজে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই ভেঙে পড়ে।এসময় দৌড়ে এক পারে চলে আসি।তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মদ আলী বলেন,ব্রিজটি পূর্ণঃ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।এখন বরাদ্দের জন্য অপেক্ষা করছি।এই সময়ের মধ্যেই ব্রিজটি ভেঙে গেছে।তবে বরাদ্দ খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে। বরাদ্দ পেলেই ব্রিজটি পূর্ণঃ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।