

রিপোর্টারঃসৈয়দ সালমান হোসেন:
বড় ছেলে ১০ বছর ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী। রেখে আসছেন পাবনা মানসিক হাসপাতালে। দিনমজুর লতিফ খা ও লাকি বেগমের এখন একমাত্র বাঁচার অবলম্বন ছোট ছেলে রিফাত খা (১১)। খুব কষ্ট করে রিফাতকে ভর্তি করেছেন মাদ্রাসায়। তাদের স্বপ্ন ছেলে একজন বড় আলেম হবে। সেই ছেলেটি ১১ দিন ধরে নিখোঁজ। ছেলেকে হারিয়ে মা-বাবা এখন পাগল প্রায়।
জানা যায় গত ২২ মার্চ মঙ্গলবার মাদারীপুর সদর উপজেলার কালাইমারা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে হোগলপাতিয়া মাদ্রাসায় যাবার কথা বলে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। ঘটনার ৩ দিন পর ২৪ মার্চ মাদ্রাসা
থেকে যোগাযোগ করা হয় রিফাতের বাসায়। রিফাত কেন মাদ্রাসায় আসে না। একথা শুনে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে লতিফ লাকিয়া দম্পতির মাথায়। এর মধ্যে রিফাতের বাবা লতিফ খা শুরু করে দেয় খোঁজাখুঁজি। মাইকিং, পোস্টারিং এবং বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও মেলে না কোন প্রকার খোজ। রিফাত কে অনেক চেষ্টার পরও খুঁজে না পেয়ে বাবা লতিফ খা ২৭ মার্চ মাদারীপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার নম্বর ১৪৪৫।
রিফাত খা উত্তর হোগলপাতিয়ার উদ্যম ইয়াতীম শিশু পল্লী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজু ২ পাড়ার হাফেজিয়া ছাত্র। রিফাতের বাবা লতিফ খা বলেন, ‘আমার বড় পোলাডা পাগল। ওরে পাবনা পাঠাইছি। আমাগো একমাত্র ভরসা রিফাত। আমি ইটভাটায় কাজ করে খুব কষ্ট করে পোলাডারে মাদ্রাসায়
দিছি। বড় আলেম হইবো, আমাগো আর কষ্ট থাকবো না। আমার পোলাডা কই হারাই গেলো। আজ ১১ দিন ধইরা কোনো খবর নাই। আমার কোন শত্রু নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ, আমার ছেলেকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেন।’
স্থানীয় লিটু খা বলেন, ‘রিফাত অনেক সভ্যশান্ত একটা ছেলে। বেশ কিছুদিন ধরে রিফাত নিখোঁজ আছে। দেশবাসীর কাছে আমার অনুরোধ রিফাতকে যেন খুঁজে পায় সবাই সাহায্য করবেন।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলেটিকে এখনো খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় নি, তবে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছি।