

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি //
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১১ নং ভরপাশা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আরসাফ মোল্লার বাড়িতে বাল্য বিবাহের আয়োজন করায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে পন্ড হলো বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠান। সরেজমিন গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভরপাশা ইউনিয়নের দেলোয়ার সিকদার এর কন্যা ছোফরন নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ও পাশের বাড়ির আরসাফ মোল্লার পুত্র হাসান মোল্লার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করেন। ৩০ মার্চ বুধবার দুপুরে বিবাহের আয়োজন করেন। বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠান স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের জানা থাকা সর্ত্বেও বাল্য বিবাহের কোন তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করা হয়নি বলে জানাগেছে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্য বিবাহ হওয়ার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা পৌছালে ঘটনার সত্যতার প্রমান পাওয়া যায়।
বিষয়টি স্থানীয় মিডিয়া কর্মীরা উপজেলা প্রশাসনকে ফোন দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাধবী রায় উপস্থিত হন। এসময় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। পরে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীর পিতা দেলোয়ার সিকদারের মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ না দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযানে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌমিতা নাজনীন, ভ্রাম্যমান আদালতের পেশকার মো: এনামুল হক, বাকেরগঞ্জ থানার এস আই জাকির হোসেন সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নাবালিকা মেয়ের বিয়ের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বর-কনে সহ উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইনের নিয়োমিত আইনে বর পক্ষের ১০ হাজার টাকা ও কনে পক্ষের ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।