

আনোয়ার হোসেন শ্রীপুর গাজীপুর :
গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার দুইদিন পর নিখোঁজ যুবক মামুনের মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে উঠেছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বরামা সিংহশ্রী সংযোগ সেতুর কাছে রায়েত এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। পরে পুলিশ এসে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত যুবক মামুন (১৯) উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের ছেলে। সে পেশায় কৃষক বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সকাল থেকে নিখোঁজ যুবকের স্বজনরা নদীর তীরে নৌকা নিয়ে তার লাশ খুঁজতে থাকেন। এরপর ঘটনাস্থলের প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বরামা সিংহশ্রী ব্রিজের দক্ষিণ পাশে অল্প কচুরিপানার ভেতর লাল গেঞ্জি পরিহিত মরদেহ ভাসমান দেখতে পায়। এরপর পুলিশ এসে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত মামুনের বড় ভাই মাসুম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে পুলিশ অনেক মারধর করেছে।’
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া বলেন, নদী থেকে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে। তার বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল বিকাল পৌনে চারটার দিকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দৌড়ে পালিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় নিহত যুবক মামুন। তার পরিবারের অভিযোগ, নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে ঘটনাস্থলের কাছে পুলিশ কলাবাগানের ভেতর মারধর করে তাকে নদীতে ফেলে দেয়। এরপর কৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন শ্রীপুর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক এএসআই শাকিল আহমেদ। গত সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের টঙ্গী স্টেশনের চার সদস্যের একটি দল চেষ্টা চালিয়েও ওই যুবকের সন্ধান পায়নি।