মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:১৩ অপরাহ্ন [gtranslate]
Headline
Headline
বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক ফোরাম ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মোশারফগঞ্জ বাজারে আলোচনা সভা দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়ন বিএনপির   ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  গাজীপুর জেলা বিএনপির ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটি আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাহাবুবে আলম শেঠ ২২ তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৫ মার্চ  গরমের রসালো ফল তরমুজে আমতলীর বাজার সয়লাব রক্তসৈনিক ফাউন্ডেশন এর ইসলামপুর শাখার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রোজাদার মধ্যে ইদ্রিস মিয়ার ইফতার বিতরণ  শ্রীপুরে দোয়া ও ইফতার মাহফিল ইসলামপুর হাসপাতালের রোগীদের মাঝে ইফতার বিতরণ 
কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে ফসল নষ্টের আশঙ্কায় বিপাকে পড়েছে কৃষক
/ ৯৫ Time View
Update : শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২, ১:০৯ অপরাহ্ন

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিমিধিঃ
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় ফসল পানিতে ডুবে নষ্টের আশঙ্কায় বিপাকে পড়েছে কৃষক চৈত্র মাসের শেষের দিকে প্রায় প্রতিদিনেই বয়ে যাচ্ছে ভারি বর্ষণ ধারা।কয়েকদিন ধরে বয়ে যাওয়া ভারি বর্সণ ও উজানের পানির ঢলে এখানকার ১৬ নদ-নদীর তীরবর্তি এলাকার চলতি বোরো ধান, পেঁয়াজ, ভুট্টা ও শাকসবজির ক্ষেত পানির নিচে ডুবে যায়।এরমধ্যে চৈত্র মাসে অসময়ে বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর ফলে নদ-নদী তীরর্তি রাজারহাট, কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর, উলিপুর, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার উঁচু ও চরাঞ্চল গুলোতে বোরো ধান, পিঁয়াজ, ভুট্টা, বাদাম, মরিচ, পটল, ঝিংগাসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে গেছে।

কয়েকদিন ধরে এসব ফসল পানির নিচে ডুবে থাকায় শতশত কৃষক ফসল নষ্টের আশঙ্কায় পড়েছেন বিপাকে।বিশেষ করে চলতি বোরো ক্ষেত নিয়ে চরম হতাশায় পড়েছেন এসব এলাকার কৃসকরা।পানিতে ডুবে থাকা বোরো ক্ষেত পঁচে গলে যাবে এমন আশঙ্কা তাদের।ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর তীরবর্তি এলাকার কৃষক মোঃ কালাম হোসেন বলেন,আমি এবার ৬ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করি। বোরো ধানের আবাদ খুব সুন্দর হয়। আশা ছিল ফলন ভালো পাবো। কিন্তু চৈত্রের বান আমার ৬ বিঘা জমির সব ফসল ডুবে গিয়েছে।এবার ঘরে বোরো ধান ভালো ফলন ঘরে উঠবেনা বলে জানান তিনি।

একই এলাকার আব্দুস সামাদ জানান,চৈত্র মাসে কাঠফাঁটা রোদ থাকে। কিন্তু এবার চৈত্র মাসে বর্ষকাল আমাদের চরম ক্ষতি করলো।তার বোরো ধানের ক্ষেত পানির নিচে ডুবে গেছে। দীর্ঘদিন ধান গাছগুলো পানির নিচে ডুবে থাকায় সেগুরো পঁচে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।বেরো ধানের সাথে চরাঞ্চলে চাষকৃত পিঁয়াজ, ভুট্টা, বাদাম, মরিচ, পটল, ঝিংগাসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে থাকায় তা নষ্ট হয়েছে।রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তিস্তার চরের কৃষক মোঃ আবুল হোসেন বলেন,আমি ৪ বিঘা জমিতে পিঁয়াজের আবাদ করেছি। কিন্তু বৃষ্টি ও উজানের ঢলে চরের জমিতে পানি ঢুকে সব নষ্ট হয়ে গেছে।

চিলমারী উপজেলার রাজার ঘাট অষ্টমীর চরের কৃষক রিয়াজুল ইসলাম বলেন,চরের জমিতে মরিচ, পটল চাষ করেছি, ঝিংঙা চাষ করেছি।সব অসময়ের পানিতে তলিয়ে শেষ হয়ে গেছে। অন্যান্য বছর এসময় পানি না আসলেও এবার এসে সব শেষ করে দিল।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার উত্তর নওয়াবস পাঁগাছী ইউনিয়নের ধরলার পাড়ের কৃষক মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন,নদীর পলিতে প্রায় এক একর পরিমানে জমিতে বোর লাগিয়েছিলাম। সব তলিয়ে গেছে। তাই ধানের শীষে কেটে নিয়ে নৌকায় করে নিয়ে আসতেছি।বাকী সব পানির নিচে।তলিয়ে রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামারবাড়ীর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সরকার রাজু বলেন,আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে চৈত্র মাসে কুড়িগ্রামে অবিরাম বর্ষণ ধারা বয়ে যাচ্ছে। এটি একটি বিরল ঘটনা। এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে কুড়িগ্রামে ৯ টা উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের ৭৭৫ হেক্টর জমির বোরো, বিভিন্ন ফসল পানির নিচে নিম্মজ্জিত হয়। এরমধ্যে ৪৫০ হেক্টর জমির চলতি বোরো ধান ক্ষেত নিম্মজ্জিত হয়েছে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুর রশীদ জানান,চৈত্রের বর্ষণ ধারায় কুড়িগ্রামের ৯ টি উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলী জমিতে পানি ওঠে। এরমধ্যে চরাঞ্চলের প্রায় ৬০০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতে পানি ঢুকে পড়েছে। উজানের পানি আসা কমে গেলে ও আভ্যন্তরিন বৃষ্টিপাত কমে গেলে ক্ষতির পরিমান কিছুটা কমতে পারে বল জানান তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page
March 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728