মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৬ অপরাহ্ন [gtranslate]
Headline
Headline
যেখানে সন্তানরাই পর, সেখানে এগিয়ে এল ইকরা সুন্নাহ্ ফাউন্ডেশন রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলাদলের দোয়া ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক ফোরাম ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মোশারফগঞ্জ বাজারে আলোচনা সভা দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়ন বিএনপির   ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  গাজীপুর জেলা বিএনপির ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ আহবায়ক কমিটি আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাহাবুবে আলম শেঠ ২২ তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৫ মার্চ  গরমের রসালো ফল তরমুজে আমতলীর বাজার সয়লাব রক্তসৈনিক ফাউন্ডেশন এর ইসলামপুর শাখার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রোজাদার মধ্যে ইদ্রিস মিয়ার ইফতার বিতরণ 
শ্রীপুরে এখনো টিকে আছে ফসলি জমিতে সনাতন সেচ পদ্ধতি
/ ২১৮ Time View
Update : শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ৪:২৫ পূর্বাহ্ন

আলমগীর হোসেন

ভোরের সূর্যটা এখনো পূর্ব আকাশে উঁকি দেয়নি। বেশির ভাগ পেশার মানুষ এখনো বিছানায়। কেউ কেউ হয়তো বা ঘুম থেকে উঠে নিজ নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু ভোরের লাল সূর্য পূর্ব আকাশে উঁকি দেওয়ার আগে নিজের জমিতে পানি সেচ দিতে শুরু করেছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ বরমী  গোসিংগা রাজাবাড়ী ইউনিয়নের কিছু কৃষকেরা। তবে আধুনিক সেচযন্ত্র দিয়ে নয়, সেচ দিচ্ছেন সনাতন পদ্ধতিতে।ইদানীং যেখানে সব ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। সেখানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলি জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ব্যবহার হচ্ছে মান্ধাতা আমলের কোন বা দোংগার ব্যবহার। তবে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়। এলাকাভেদে এটিকে ভিন্ন ভিন্ন নামে চেনেন কৃষকেরা। কাওরাইদ ইউনিয়নে নান্দিয়া সাঙ্গুন, ধামলই, সোনাব, নয়াপাড়া আর গলদাপাড়া গ্রামের কৃষকেরা বেশি ব্যবহার করেন কোন বা দোংগা। বেশ কয়েক জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষকদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে কিছু কৃষক এখনো সেচ দিতে কোন ব্যবহার করছেন। কোন দিয়ে সেচ পদ্ধতিতে কোনো ধরনের খরচ নেই বলে জানান তাঁরা। কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়ার পরও খাল ও নালা খনন, বাঁধ নির্মাণ, সংরক্ষিত জলাধার থেকে এখনো কোন দিয়ে পানি ওঠানোর কাজ করেন।কোন দিয়ে ফসলের খেতে পানি ওঠানোর সময় কথা হয় কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের ছফি উদ্দিনের ছেলে কৃষক মো. কবির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও কিছু কিছু জমিতে এখনো কোনের ব্যবহার চলছে। কোন দিয়ে পানি সেচ দেওয়া সহজ’কবির বলেন, ‘এতে খরচ নাই বললেই চলে। একবার একটি কোন কিনে নিতে পারলে অনায়াসে চলে চার থেকে ছয় বছর। কোনের ব্যবহার বর্তমান কৃষিতে নেই বললেই চলে। তবু কিছু কিছু এলাকার কৃষকেরা কোন ব্যবহার করেন নিজেদের জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য।’অনেকটা ঐতিহ্য ধরে রাখতেও কোনের ব্যবহার করেন বলে জানান কৃষক মো. কবির হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাবা সব সময় কৃষি জমিতে কোন দিয়ে সেচ দিতেন। এর ধারাবাহিকতা আমিও বেশ কিছু জমিতে কোনের মাধ্যমে পানি সেচ দিই। সকালে ফজরের নামাজ আদায় করে কোন দিয়ে পানি তোলা শুরু করেছি। দুই বিঘা জমিতে সেচ দিতে দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগবে।’কবির আরও জানান, পার্শ্ববর্তী বরমী বাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে একটি কোন কিনে এনেছেন। এরপর বাঁশ দিয়ে পানির ওঠানোর ব্যবস্থা করেছেন।কোন দিয়ে পানি ওঠানো একই ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের কৃষক মো. সুলতান মিয়া বলেন, কিছু কিছু জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে পানি সেচের সুযোগ নেই। আর দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও তা অনেকটা ব্যয়বহুল। এ জন্য বাধ্য হয়ে কোন দিয়ে পানি উঠাই।কবির হোসেন আরও জানান, নদীর তীর, খালপাড়ের জমিতে কোন দিয়ে সেচ দেওয়া যায়। এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এস এস এম মুহিদুল হাসান  বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে অল্প ধানী ফসলী জমিতে পানি সেচে দিতে  কোন ব্যবহার হয়ে থাকে। উপজেলার বেশির ভাগ কৃষি জমিতে আধুনিক সেচ পদ্ধতির ব্যবস্থা রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page
March 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728