

সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে ৭টি ইটভাটায় করাতকল (স্ব-মিল) বসিয়ে কাঠ কেটে ইট পোড়াচ্ছেন ভাটার মালিকরা। এতে কাটা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা। বিঘিœত হচ্ছে পরিবেশ। হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ ইটভাটার লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের লোকজন ম্যানেজ করে এভাবে ইটভাটায় করাতকল বসিয়ে কাঠ কেটে ইট পোড়াচ্ছেন ভাটার মালিকরা। প্রশাসনের দেখছে এসব ইটভাটাগুলোতে রয়েছে করাতকল।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে ২২ টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে এডিবি,মৃধা,ফাইভ স্টার, এমকেএস,এইচআরটি, এসএসবি ও এমসিকে ইটভাটাগুলোতে ড্রাম চিমনী নেই।পরিবেশ নিয়ন্ত্রন আইন অমান্য করে করাতকল বসিয়ে গ্রাম ও বনাঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এনে করাতকলে কেটে ইটভাটায় পোড়াচ্ছেন।
এদিকে গত ১৭ জানুয়ারী ওই ইট ভাটাগুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন হক পরিদর্শন শেষে প্রত্যেক ইটভাটার মালিককে দুই লক্ষ টাকা করে ১৪ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করেন এবং একই সাথে ইটভাটাগুলো বন্ধের নির্দেশ দেন। ই্ট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩ সালের ৬ ধারায় উল্লেখ আছে কোন ব্যাক্তি ই্টভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কোন জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করতে পারবে না। ৮ ধারায় আরো উল্লেখ আছে আবাসিক, সংরক্ষিত বা বানিজ্যিক এলাকা ও কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করতে পারিবে না। এ ধারাগুলো লংঘণ করলে তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড বা অনধিক তিন লক্ষ টাকা অর্থদন্ত ও উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
ফাইভ স্টার ইটভাটার মালিক মোঃ মধু প্যাদা ইটভাটায় করাতকল বসানোর কথা স্বীকার করে বলেন, প্রশাসনের লোকজন করাতকল সরানোর নির্দেশ দিলেও ইট পোড়ানোর প্রয়োজনে সরাচ্ছি না। তাহলে প্রশাসনের চেয়ে আপনী (মধু প্যাদা) শক্তিশালী এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।
আমতলী বন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম বলেন, ইটভাটায় করাতকল বসিয়ে কাঠ চেরাই কন্যা সম্পুর্ন বে-আইনী। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, অবৈধ ইটভাটাগুলোতে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা এড়িয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিযুষ চন্দ্র দে বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।