

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের পটিয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় মা-মেয়েসহ দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩টায় পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নে উনাইনপুরা গ্রামে নুরুল হক চৌকিদার বাড়িতে। আহতরা হলেন- কলেজ ছাত্রী মেহেরুন্নেসা (২৫) ও তার মা কামরুন নাহার (৫০)। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে মেহেরুন্নেসার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। প্রতিপক্ষদের লোহার রডের আঘাতে কলোজ ছাএী মেহেরুন্নেসার মাথার মাঝখানে ৮টি সেলাই করা হয়েছে বলে কর্তব্যরত চিসিৎসকরা জানান। এ ঘটনায় হেমেরুন্নেসার পিতা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে একই এলাকার সালাহউদ্দিন রানা, আবদুর রহমান, মুজিবুর রহমান ও গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ খলিলুর রহমানের সাথে সালাহ উদ্দিন রানার মধ্যে বসতভিটার ভাগভাটোয়াসহ নানান বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিশ বিচার হয়। প্রতিপক্ষ বিবাদীগণ শালিশ বিচার না মানলে পরে খলিলুর রহমান পটিয়া থানা ও আদালতে দায়ের করে। এ ব্যাপারে পটিয়া থানার (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছে, কলেজ ছাত্রীকে আহত করার ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। খলিলুর রহমান জানান, আমার বসতভিটার পৈতৃক সম্পক্তিতে একটি পুরানো লেন্ট্রি গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে এতে আমার মাস্টার্স পড়ুয়া
মেয়ে মেহেরুন্নাসাকে এলোপাতাড়ি রোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। আমি এর বিচার চাই।