

হরিনাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ)থেকে রাব্বুল হুসাইন :
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপূর ইউনিয়নের বেড়বিন্নী গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে ননদ ও ভাবীদের হাতে এক ভাবী নিহত হয়েছেন। নিহত আসমানি খাতুন (৪৫) বেড়বিন্নী গ্রামের আনজেত মোল্লার স্ত্রী। ২৩ দিনের ব্যবধানে ওই গ্রামে সামাজিক
ও পারিবারিক কলহে নারী পূরুষ দুইজন খুনের ঘটনা ঘটলো।
প্রতিবেশী,প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মে রবিবার বিকলে মনোয়ার মোল্লার ছেলে উজ্জল মোল্লার নাবালক ছেলের সাথে আনজেত মোল্লার ছোট ছেলে মোবাইল নিয়ে খেলা করাকে কেন্দ্র করে উজ্জলের স্ত্রীর সাথে সম্পর্কে চাচী শ্বাশুড়ী আনজেত মোল্লার স্ত্রী আসমানী খাতুনের সাথে কথা
কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আলমগীর ও সন্টুর স্ত্রী ও বোনেরা বড় ভাবী ও উজ্জলের স্ত্রীর সাথে মিলে আনজেত মোল্লার স্ত্রী আসমানী খাতুনের উপর চড়াও হয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে।
প্রথমে আহত আসমানী খাতুনকে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসমানী খাতুনের আবস্থার আবনতি হলে
সোমবার দিবাগত রাত ১টার সময় ফরিদপুর
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ যে গত ১৭ এপ্রিল ওই গ্রামেই উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আলতাফ হোসেন বিশ্বাস (৬৫) নামে ১ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়। নিহতের ঘটনায় ২৬ জনের নামে মামলা হয়। আসমানী খাতুনকে মারধর ও পরবর্তীতে নিহতের ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।
চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন এই ঘটনা একটি পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে হয়েছে। এটা কোন সামাজিক দ্বন্দ্বের জের নয়, সমাজিক গোলযোগে আলতাফ বিশ্বাস নিহতের ঘটনার সাথে
এ ঘটনার কোন যোগসূত্র নেয়।
হরিনাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ
সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
পারিবারিক ও সামাজিক দ্বন্দের ফলে এই হত্যাকান্ড হতে পারে। নিহতের ননদ ও ভাসুরের ছেলে-বউরা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।