

মোঃখোরশেদ আলম ব্যুরো প্রধান:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৩৫ হেক্টর জমিতে লতি কচুর আবাদ হয়েছে। গতবারে এ উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে লতি কচুর চাষ হলেও এবার তা বাড়িয়ে কৃষকরা ১০ হেক্টর বেশি জমিতে কচুর চাষ করে। ছায়াতল ও শ্যাঁত শ্যাতে প্রতিত জমিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকরা বাড়তি লাভের আশায় এই কচু চাষ করে থাকে। উচ্চ ফলন শীল লতিরাজ, স্থানীয়,কাঠ কচু,পানি কচু ও ইরি কচু সহ একাধিক জাতের কুচুর আবাদ ভালো হওয়ায় লতি বিক্রি শুরু করেছেন কৃষকরা। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় ৮০ দশকে প্রচুর কচুর চাষ হত। ফলে কালের প্ররিক্রমায় আস্তে আস্তে তা কমতে থাকে। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত কচুতে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা এ কাজে উদ্ধুদ্ধ হচ্ছে বেশি। কচুতে তেমন খরচ হয় না। কচু একটি উচ্চ ফলন শীল ফসল। জমিতে লাগানোর পর থেকে ১ থেকে দেড় মাসের মাথায় লতি বিক্রি করতে পারে।
বাতিসা ইউনিয়নের আটগ্রামের কৃষক মোঃ আবু তাহের মোল্লা বলেন, এবার ২০ শতক জমিতে কাঠ কচুর আবাদ করেছি। খরচ তেমন একটা হয়নি। লতি বিক্রি শুরু করেছি। আশা করি কচু বিক্রি করে অনেক টাকার মুনাফা অর্জন করতে পারব।
ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধনুসাড়া গ্রামের কৃষক ছোবহান মিয়া বলেন, আমি প্রতিবছর বাড়ির পাশে একাধিক জাতের কচুর আবাদ করি। বিভিন্ন হাট বাজারে লতি বিক্রি করে আমি অনেক টাকা আয় করে থাকি। এবারেও ১০ শতক প্রতিত জমিতে স্থানীয় কচু চাষ করেছি।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন,কচু একটি উচ্চ ফলন শীল ফসল। এটি অনেক লাভ জনক। প্রতি বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকরা শ্যাঁত শ্যাঁতে জায়গায় কচুর আবাদ করে থাকে। কচুর তেমন একটা খরচ হয় না। অল্প টাকাতে এই ফলন চাষ করা যায়। সামান্য ইউরিয়া সার ব্যবহারের ফলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে বেশি। ভবিষ্যতে কৃষকরা যাতে এই চাষে আগ্রহ হন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।