

সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-
রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের সম্পদ। উন্নয়নের চাকাকে সচল রেখেছে তারা। প্রবাসে কঠোর শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করে অর্থ উপার্জন করে তা বৈধভাবে দেশে পাঠিয়ে দেশকে করেছে সমৃদ্ধ। প্রবাসী মোঃ আরিফ উদ্দিনের সম্বর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, প্রবাসীর অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে প্রেরণ রোধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণোদনা দেয়ায় আজ বৈধ চ্যানেলে প্রবাসীরা অর্থ প্রেরণ করছেন।
প্রবাসী আরিফকে এই সম্বর্ধনার আয়োজন করে পৌর কাউন্সিলর গোফরান রানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এই জন্য তাঁকে পৌরসভার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।উল্লেখ্য, পটিয়ার গর্ব আবুদাবি প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ব্যবসায়ী মো. আরিফ উদ্দীনকে ব্যাংকিং চ্যানেলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রেরণ করায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করায় পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোফরান রানার উদ্যোগে মঙ্লবার ১৭ মে রাতে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় এক সম্বর্ধনা ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।পৌর কাউন্সিলর শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এম এন নাছির, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল করিম, এবং পৌরসভার পৌরসভার কাউন্সিলর বৃন্দ।
অনুষ্ঠানের আয়োজক পৌর কাউন্সিলর গোফরান রানা বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাসীর পরিবারের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের মাথাপিছু আয় ও জিডিপির মান উন্নয়ন করে চলেছেন। ফলে মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ নতুন দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশ ও জাতির গর্বিত সন্তান।তবে মাঝেমধ্যে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বিমানবন্দরে নানা হয়রানি ও ভোগান্তির খবর শুনে আমরা ব্যথিত হই। তাদের এই সমস্যা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে ।
দেশ উন্নয়নের সহায়ক শক্তি এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মানিত করতে পারলে আমরা নিজেরাও সম্মানিত হই। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মানিত করলে অপরাপর প্রবাসীরাও উৎসাহিত হবেন। এতে করে সরকারের বৈদেশিক আয় বাড়বে।সম্বর্ধিত অতিথি রেমিট্যান্স যোদ্ধা আরিফ বলেন, দেশকে ভালোবাসি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রত্যাশা করি বলেই নিজের আর্থিক ক্ষতি হলেও বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আমাকে এওয়ার্ড দিয়েছে বলে আমি যতটুকু আনন্দিত হয়েছি, তার চেয়ে বেশি আমার পটিয়ার নেতারা আমাকে সম্বর্ধনা দেয়ায়। তিনি এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আপনারা আমাকে সম্বর্ধনা দেয়ায় আমি আপনাদের কাছে চিরঋণী হয়ে রইলাম।