

নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্তৃক ইছাখালীস্থ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়, উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের খতিব মৌলানা ক্বারী মুহাম্মদ রহমত উল্ল্যাহ। এ সময় দোয়া ও মিলাদ মাহফিে উপস্থিত ছিলেন রাংগুনিয়া উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ নাছের উদ্দীন রিয়াজ, সাধারন সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম দিদার, সহ সভাপতি মোঃ আজিম উদ্দিন, সাবেক উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আবদুল আল হান্নান, হায়দার আলী, উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মুহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম, মোঃ শওকত মেম্বার, ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মোঃ মুছা তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম, আহম্মদ উল্লাহ খোকন, মোহাম্মদ বেলাল, মোঃ শওকত চৌধুরী, মোঃ ফোরকান, মোঃ রফিক, মৌলানা মোঃ ইয়াছিন, মোহাম্মদ বাচা, জামাল উদ্দিন, মোঃ মিজানুর রহমান, বদিউল আলম, মোঃ হাবিব, জুয়েল বড়ুয়া, গিয়াস উদ্দিন, মো বেলাল সিকদার, মো জমির সহ নেতৃবৃন্দ।
১৯৮১ সালের এই দিনে দীর্ঘ ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে এইদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকার তৎকালীন কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বিদেশে অবস্থান করার কারণে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান দুই বোন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা।
দেশের মাটিতে পা রাখার আগেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫, ও ১৬ ফেব্রুয়ারি হোটেল ইডেনে অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
এদিন দেশে ফিরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।
সেদিন তিনি আরও বলেন, ‘আমার আর হারানোর কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল- সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে বাঙালি জাতির আর্থসামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’
শেখ হাসিনা এদিন বলেছিলেন, বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।