

পটিয়া (চট্টগ্রাম)থেকে সেলিম চৌধুরীঃ-
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভায় সামান্য বৃষ্টিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চলাচলে সড়কে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে পটিয়া পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ড হাবিবুর পাড়া সড়কে হাঁটু পানি জমে গিয়ে চলাচল করতে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। পানি নিষ্কাসনের ড্রেন অপরিষ্কার ও মাঝে মধ্যে এ ড্রেইন সংকোচিত ফলে বৃষ্টি হলে দ্রুত পানি নিষ্কাসন হয়না।এছাড়াও পটিয়া পোস্ট অফিস সড়ক, পেৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে কাগজি পাডা সড়ক, রাম কৃষ্ণ সড়ক,ওয়াবদার রোড় সড়ক, নাপিত পাডা সড়ক, আলম শাহ সড়ক, বৈলতলী সড়ক, শাহ আমির স্কুল সড়ক, মাদ্রাসা রোড়, সড়কে সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে থাকে। যার ফলে সাধারণ মানুষ চলাচলের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে সাবেক কমিশনার নুর ইসলাম, সাবেক কমিশনার আবদুল খালেক ও জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের পরাজিত চেয়ারম্যান মোঃ দিদারুল জানান। এছাড়াও সামান্য বৃষ্টিতেই উপজেলার শান্তিরহাট-কান্তিরহাট কালারপুল সড়কের বেশকিছু স্পটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঈদে আনন্দ করতে আসা মানুষের ভোগান্তি চরমে ছিল। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় মোটরসাইকেল চাকলরা ঝুঁকি নিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে গত দুইদিনে রাস্তায় জমে থাকা পানিতে পড়ে অনেকের কাপড়ছোপড় নষ্ট হয়েছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে গত তিন মাস পূর্বে টেন্ডার হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ আলী চৌধুরী জেবি শামীম এন্ড ব্রাদার্সকে এখনো কাজের কার্যদেশ দেওয়া হয়নি। যার কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারছে না। এদিকে, ঈদের পরের দিন বুধবার ও বৃৃহস্পতিবার থেমে থেমে সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শান্তিরহাট-কান্তিরহাট কালারপুল গ্রামীণ সড়কটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এটি উপজেলার কুসুমপুরার থানা মহিরা, জিরি ইউনিয়নের উত্তর দেয়াং মোহাম্মদ নগর ও কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপড়া এলাকা হয়ে কালারপুল সংযোগ সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত। কোলাগাঁও ইউনিয়নে রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, জাহাজ নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টসসহ বেশকিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালবাহী গাড়ি এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করার কারণে এবারের ঈদে সামান্য বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের দুইপাশে ড্রেনেস ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি পানিতে ডুবে থাকে। সড়কের আনু মিঞা চেয়ারম্যান ঘাটা, লেংগার দোকানের পশ্চিম পাশে ও কান্তিরহাট বাজার এলাকায় যেন মৃত্যুর ফাঁদে পরিনত হয়েছিল। সাংবাদিক আবুল হোসাইন চৌধুরী জানিয়েছেন, গ্রামীণ এ সড়কটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়কের সঙ্গে কুসুমপুরা, জিরি, কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ ও কর্ণফুলীর মইজ্যারটেক এলাকার সঙ্গে সংযুক্ত। এলজিইডির অর্থে সম্প্রতি প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা আরসিসি ঢালাইয়ের একটি টেন্ডার হয়। তবে ঠিকাদার কাজ শুরু করতে না পারায় দুর্ভোন্তি হচ্ছে। প্রতি বর্ষা মওসুমে সড়কে পানি জমে থাকে। ড্রেনেস ব্যবস্থা না করলে সড়কের টেকসই উন্নয়ন সুফল আসবে না। আনু মিয়া চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘাটা থেকে লেংগার দোকান হয়ে শান্তিরহাট খালের সঙ্গে একটি ড্রেন সংযুক্ত ও কান্তিরহাট থেকে কালারপুল খালের সঙ্গে আরেকটি ড্রেন সংযুক্ত করা জরুরি।এলজিইডি পটিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিশ^জিত দত্ত জানিয়েছেন, শান্তিরহাট-কান্তিরহাট সড়কটি গত তিন মাস আগে প্রায় ৬ কোটি টাকায় টেন্ডার হয়েছে। অফিসিয়ালি কাজ শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এখনো কার্যদেশ দেওয়া সম্ভব হয়নি। যার কারণে সড়কের কাজ শুরু যাচ্ছে না। খুবই শীঘ্রই কাজের কার্যদেশ দেওয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করবে।