

সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-
পটিয়া উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ছাত্রলীগের আহাবায়ক কমিটি ও হুলাইন ছালেহ নূর ডিগ্রী কলেজ কমিটি দেওয়া নিয়ে চরম নাটকীয়তা শেষে সামাজীক যোগাযোগ মাধ্যেমে দুই ঘন্টার ঝড় শেষে উপজেলা ছাত্রলীগের আহাবায়ক কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রলীগ।*আহাবায়ক কমিটির বেশিরভাগই জানেনা কমিটির বিষয়ে*ছাত্রলীগের কমিটি বেআইনি ঘোষণা করল কচুয়াাই ইউনিয়ন আ’লীগ*কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের আহাবায়ক নাজমুল সাকের সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়। অযোগ্যদের স্থান দেওয়ায় কমিটি ঘোষণার পরপর পদত্যাগের হিড়িক পড়ে।
সদ্য ঘোষিত কমিটির উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের সভাপতি রাসেল কান্তি দে, কেলিশহর ইউনিয়নের সভাপতি বোরহান উদ্দিন, হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের সভাপতি ফৌজুল আলিম রুপু, আশিয়া ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ গালিব চৌধুরী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তানবির ফরহাদ, কুসুমপুরা ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান, কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন।এছাড়াও উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিকে বেআইনি বলে ঘোষণা করেছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। কচুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান
আবদুল খালেক, ইউনিয়ন সভাপতি মো. মুছা খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট অন্জন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয় উপজেলা ছাত্রলীগের আহাবায়ক কমিটি কতৃক ঘোষিত কমিটিকে তঁারা সমর্থন করেন না এই কমিটি সম্পূর্ণ বেআইনি বলে তারা আখ্যা দেন। এদিকে দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নে কমিটি ঘোষণার আধা ঘন্টা পর বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন করে আহাবায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেখানে আহাবায়ক জোবায়ের আহমেদ ইমন ও সদ্য কমিটি থেকে পদত্যাগ করা সভাপতি রাসেল কান্তি দে কে পুনারয় যুগ্ন আহাবায়ক করা হয়েছে।সদ্য সহ-সভাপতির পদ পেয়ে পদত্যাগ করা আশিয়া ইউনিয়নের মো. গালিব চৌধুরী তার ফেইসবুক পোস্টে লিখেন আমি মোহাম্মদ গালিব চৌধুরী। একটু আগে আশিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিতে আমাকে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত করেছেন বলে আমি ফেইসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। উক্ত কমিটি সম্পর্কে আমি এবং আমার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা অবগত নই। উক্ত কমিটিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছে, এবং যাদের কখনো রাজপথে মিটিং মিছিলে দেখিনি তাদেরকে উক্ত কমিটিতে বিভিন্ন পদে সভাপতি সহ অনন্য পদে পদায়ন করা হয়। যেহেতু আমি একজন ছাত্র এবং আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে চলি। সেহেতু যারা নৌকার বিরোধিতা করেছেন তাদের কে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক (যিনি ইতি মধ্যে নারি কেলোংকারীর মধ্যে জড়িত ছিলেন) টাকার বিনিময়ে দেওয়া এ কমিটিকে আমি একজন ছাত্র হিসাবে এবং আমার পদ থেকে স্ব ইচ্ছায় পদত্যাগ করছি। আমি আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী হিসাবে রাজনীতি করে যেতে চায়।কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের ২ নং যুগ্ন আহাবায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহাবায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকে তেমন কারোর সাথে আমার সাথে যোগাযোগ নেই। আমরা কমিটির বেশিরভাগই আহাবায়ক নাজমুল সাকের সিদ্দিকির বিরুদ্ধে দক্ষিণ জেলা কমিটির প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট বরাবারে নারাজি দিয়েছি। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।জেলা ছাত্রলীগের ভাইস সহসভাপতি ও পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের ৩ নং যুগ্ন আহাবায়ক রবিউল হোসেন ইবলু জানান, তারা কমিটির বিষয়ে কিছু্ই জানেননা। কয়েকজন স্বার্থন্বেষী লোক এই কমিটিতে টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের স্থান করে দেওয়ার জন্য এই কমিটি ঘোষণা করেছে। এই কমিটি সম্পূর্ণ অবৈধ। কমিটিতে যাদেরকে স্থান দেওয়া হয়েছে তঁাদের সম্পর্কে খেঁাজ নিলে জানা যাবে তাদের বয়স ও তারা কে কি করে। তিনি জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের অধিকাংশ যুগ্ন আহাবায়ককে বাদ দিয়ে কিভাবে এই কমিটি ঘোষণা করা হয় তা বোধগম্য নই।
এইদিকে ঘোষিত কমিটির কথা জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বুরহান উদ্দিন জানান, পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের প্যাডে যে কমিটি দেখা যাচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া এবং এডিট করা। আমাদের কার্যক্রম আমাদের নিজস্ব আইডি থেকে প্রকাশ করি। তিনি আরো জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের আহাবায়ক কমিটির মেয়াদ উত্তির্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভাটিখাইন ইউনিয়ন ছাএলীগ সভাপতি নাঈম উদ্দিন ইমন ফেসবুকে লিখেন,সদ্য ঘোষিত ভাটিখাইন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর কমিঠিতে বি.এন.পি,জামাত পরিবারের সদস্য থাকায় আমি এই কমিঠি থেকে পদত্যাগ নিলাম।প্রমান সহ আসছি ধৈর্য দর।পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ এর ১ নং যুগ্ন আহবায়ক সেলিম উদ্দীনের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে।ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণার বিষয়ে জানতে বারবার মোবাইল ফোনে উপজেলা ছাত্রলীগের আহাবায়ক নাজমুল সাকের ছিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। একদিনে ঘরে বসে সন্মেলন ছাড়া ১৭ টি ইউনিয়নে ছাএলীগ কমিটি ঘোষণা একটি বড় ধরনের বানিজ্য হয়েছে বলে ছাএলীগ তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সুএে জানাযায়। তারা বিষটি তদন্ত করে দেখার জন্য মাননীয় হুইপ আলহাজ্ব শামসুল হক চৌধুরী ও পটিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাএলীগ সভাপতি সম্পাদকসহ জেলার নেতৃবৃন্দর সুদৃষ্টি কামনা করেন।