

মো. ফরহাদ, মুন্সীগঞ্জ:
আমি ছেলে হারিয়ে অসহায় পরেছি। আমি ছেলের সঠিক বিচার যেন পাই। প্রশাসনের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ রইল। আমার আশা যেন পূর্ণ করে প্রশাসন, আমি একজন স্বামী হারা, আবার ছেলেও হারালাম। আমি ‘মা’ হয়ে আর কষ্ট সইতে পাচ্ছি না। আমার ছেলে ছিলো একমাত্র সম্বল ও উপাজর্নকারী। আমার মতো যেন আর কোন সন্তান কেউ না হারায়। কথা গুলো কান্না করে বলেছিলেন নিহতের ‘মা’ নাছিমা আক্তার।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টা মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে “আসিফ হত্যার বিচার চাই,শাহ্ সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর ঘাতক ট্রাক ড্রাইবারের শাস্তি চাই” এই স্লোগান দিয়ে শিক্ষক/শিক্ষিকা, পৌর কাউন্সিলর, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ , আত্মীয়-স্বজন ও ছাত্র/ছাত্রী মানববন্ধন করেন। আসিফ সরকারি হরগঙ্গা কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অনার্স ৩য় বর্ষের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। নিহত আসিফ ইকবাল মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কাটাখালী ৬নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেন পিন্টুর ছেলে ।
এসময় মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন, পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাত্তার মুন্সী, সাবেক কাউন্সিলর হোসনে আরা, নিহতের মা নাছিমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, কাউসার মোল্লা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা লতিফা সিকদার, প্রভাষক আসিব আহমেদ, মোজাম্মেল হোসেন, আব্দুল আল মামুন, স্বপন মোল্লা, চয়ন, সাব্বির প্রমুখ। মানববন্ধনকারী বলেন, শাহ্ সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর ঘাতক ট্রাক ড্রাইভাররে যেন শাস্তি হয় সেই দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে। আমার ভাইয়ের হত্যার যদি বিচার না পাই তাহলে এই আন্দোলন আরও কঠোর হবে বলে হুশিয়ারি দেন। আসিফ একজন মেধাবী ছাত্র ও বিভিন্ন সংগঠনের সাথে ছিলেন আমরা আর আফিসকে পাবো না। আমরা ঘাতক ড্রাইভারের শাস্তি চাই। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই। আর যেন কেউ সড়কে প্রাণ না হারায় । ছাত্র সমাজ ও সকলেই যেন শান্তিপূর্ণ ভাবে রাস্তায় চলাচল করতে পারে সেই দাবি জানায়।
উল্লেখ্য-গত ( ১ জুলাই) শুক্রবার দুপুরের নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার উত্তর কাশিপুর এলাকায় মুসকান মটরসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আসিফ ইকবাল তার বন্ধু সাব্বিরকে নিয়ে ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনা নিহত হয়। জানা যায়,শাহ্ সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর ঘাতক ট্রাক ড্রাইভার বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাছিলেন। মটরসাইকেল অনেক বার হরেণ দেওয়ার পরেও মটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগিয়ে দেই। এতে আসিফ ইকবাল ও তার বন্ধু সাব্বির গাড়ি থেকে পড়ে যান। এতে আসিফ ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং গুরুতর আহত হয় সাব্বির।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ট্রাক ও চালকসহ আটক করা হয়েছে ঘটনাস্থলেই। লাশ ময়নাতদন্তের শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এবিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্রাকটি আমাদের কাছে এখনও আটক আছে। আমারও চাই যেন পরিবার সুষ্ঠু বিচার পাই।