

সেলিম চৌধুরী পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও পটিয়ার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শামসুল আলম মাস্টারের জানাজা গতকাল পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাখো মানুষের ঢল নামে। তার জানাজায় অংশ নেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি, সাবেক চসিক মেয়র আলহাজ¦ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলাইমান আলম শেঠ, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও পটিয়ার সাবেক এমপি আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল, ইউএনও আতিকুল মামুন, পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম সওদাগর,কেন্দ্রীয় যুবলীগ যুগ্ন সম্পাদক বদিউল আলম, পটিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার মোহাম্মদ পিয়ারু, ডাক্তার তিমির বরণ চৌধুরী,
মহানগর আ.লীগ নেতা দিদারুল আলম চৌধুরী, সাবেক এমপি জাতীয় পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান মৌলবী ইলিয়াস, সাবেক এমপি মজারুল হক শাহ্, সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল কবির দিদার, সাবেক ছাএনেতা জসিমুল আনোয়ার খান,জাতীয় পাটি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, নগর জাপার আহবায়ক এয়াকুব হোসেন, ফটিকছডি উপজেলার সভাপতি এডভোকেট আবছার উদ্দিন চৌধুরী, জাপার কেন্দ্রীয় নেতা নাছির উদ্দীন সিদ্দিকী, নুরুচ্ছফা সরকার, আবদুস সাত্তার রণি, রফিক আহমদ চেয়ারম্যান, আলমগীর চেয়ারম্যান, নুরুল আবছার চেয়ারম্যান, দিদারুল আলম ফজু,সাবেক কমিশনার নুরুল ইসলাম, কাজী খোরশেদ আলম,মনির চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ মিয়া চৌধুরী, ডাক্তার খোরশেদ আলম, সেলিম চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ, জাহাঙ্গীর মেম্বার, দুলা মিয়া মেম্বার, মোঃ হোসাইন, নুরচ্ছফা, সাখাওত হোসেন সানু, জসিম উদ্দিন বাবর, এম এন জসিম, ইয়াসিন খান,নগর ছাএসমাজ আহবায়ক শরীফ মল্ল নীরবসহ জাতীয় পার্টি, জাতীয়, জাতীয় যুবসংহতি, জাতীয় ছাত্র সমাজ হাজার নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আকম সামশুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, সহ সভাপতি বিমল মিত্র, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার শেখ সাইফুল ইসলাম, পৌর আ.লীগ সভাপতি আলমগীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এম এন এ নাছির, দক্ষিন জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আমম টিপু সুলতান চৌধুরী, কাউন্সিলর গোফরান রানা, সরোয়ার কামাল রাজিব, জসিম উদ্দিন, শফিউল আলম, সাবেক কমিশনার হাসান মুরাদ, সাবেক কমিশনার খোরশেদ গণী, সাবেক কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন শানু,, ব্যবসায়ী নেতা হাজী এম এ ইফসুফ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জসিম,সাবেক উদ্দিন প্রমুখ। উল্লেখ্য, শামসুল আলম মাস্টার পটিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মরহুম আমিনুল হকের মেজ পুত্র। তিনি পটিয়া পৌরসভার সাবেক তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯১ সাল ও ৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে সামান্য ভোটে হেরে যান।এছাড়াও ১৯৮৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আনোয়ার আসনে ৮৬ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেও জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড বিজয়ী ঘোষনা করেনি বলে জীবিত শামসুল আলম মাষ্টার বার বার বিভিন্ন সভা সমাবেশ অভিযোগ তুলেন।এছাড়া তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে আলোচিত ঘটনা হল এরশাদ মুক্তি আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৯৪ সালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মনজুর হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম আদালত হাজির করলে শামসুল আলম মাষ্টার বিশাল মিছিল নিয়ে তা প্রতিরোধ গড়ে তুলে, শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে আদালত বসে দেশের রাজনীতিতে একটি ইতিহাস গড়েন। এছাড়াও শামসুল আলম মাষ্টার ১৯৮৭ সালে পটিয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে একাধিকবার পটিয়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত সারাদেশে আলোচনায় আসেন।এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার স্বনামধন্য বাংলা পত্রিকা স্বাধীন কন্ঠের কর্ণধার কাজী আরমানের শশুর তিনি।