

জহিরুল অরুন, বাবুগঞ্জ:
বাবুগঞ্জে একটি সড়কের জন্য শত শত পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে আছে। বরষা মৌসুমে থাকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। হাটু পরিমান কাদা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় ভুক্তভোগীদের। এলাকাবসীর বহনকারী যে কোন পণ্য কিংবা অসুস্থ রোগীকে নিয়ে পরেছেন চরম বিপাকে। তার উপরে পণ্য বোঝাই অবৈধ ট্রলি যাতায়াতে সড়কটির আরো বেহাল দশা হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ঠি হয়েছে খানাখন্দের।
সড়কটি বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের চাঁদপাশা গ্রামের রাজমাথা সংলগ্ন শিমুলতলা (নূরু স্যারের বাড়ি) সামনে থেকে অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন স্যারের বাড়ি হয়ে ময়দানের হাট(আরজিকালিকাপুর) সড়কে মিশেছে।
দুই হাজার সনের দিকেও ওই সড়কটি ছিল ভাঙ্গাচোড়া কাঁচা। তবুও কয়েক স্থানে বাশের সাকো দিয়ে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতো। অনেক আবেদন নিবেদন শেষে প্রায় দুই যুগ পূর্বে তৎকালিন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাবের প্রচেষ্টায় সড়কটি সংস্কার সহ ইট সোলিং এর কজ সম্পন্ন হয়। এতে ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়। আস্তে আস্তে সড়কটি ভাঙ্গাচোড়া এবং বেহাল দশায় পরিণত হলে এটি পুননির্মাণ সহ কার্পেটিং এর বরাদ্দ পায়। সে মোতাবেক কাজের নির্দেশ নিয়ে ঠিকাদার কাজ শুরু করেন গত ৩-৪ বছর পূর্বে। সড়কের ইট খুরে কাজ শুরুও করেছিলেন ঠিকাদার। কিন্তু কিছু দিন কাজ করার পরে ঠিকাদার হঠাৎ কাজ বন্ধ করে উধাও হয়ে যান। যার হদিস আজও মিলেনি এবং ওই কাজ পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। এতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক খোঁজ নিয়েও ওই ঠিকাদারের প্রতিষ্ঠানের নাম কিংবা পরিচয় পাওয়া যায়নি। ভোগান্তি এড়াতে স্থানীয়দের উদ্যেগে কিছু কিছু স্থানে ইটের খোয়া ফেলে সড়ক সংস্কার করে ভোগান্তির কিছুটা লাঘোবের চেষ্টা করেছেন কিন্তু পণ্য বোঝাই অনুমোদনবিহীন অবৈধ ট্রলি যাতায়াতে সড়কটির আরো বেহাল দশার সৃষ্ঠি করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজিমন ঘুরে দেখা গেছে ওই সড়কটির প্রবেশ দ্বারে সড়কের মাঝে গাছ পুতছেন কয়েকজনে। কেন এমন করছেন তার জবাবে তারা জানালেন তাদের দূর্ভোগের কথা এবং সড়কটির বর্তমান অবস্থার কথা। ট্রলি প্রবেশ করে যাতে সড়কটির আরোও ক্ষতিসাধন করতে না পারে সে জন্য তারা ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
এব্যাপারে ওই ইউপি সদস্য মোঃ হালিম হাওলাদার, সমাজ সেবক খসরু সিকদার, শাহিন, জামাল সহ উপস্থিত সকলে বলেন, সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটির বেহাল দশার অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল সরেজমিনে এসে পরিদর্শন করেছেন কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। ঠিকাদার কি কারনে কাজ ফেলে চলে গেছেন তা আমাদের জানা নেই তবে, এলাকার উন্নয়নে এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করনের জন্য সড়কটির কাজ শুরু করা দরকার। এটা এলাকাবসীর প্রাণের দাবী।
কেন ওই প্রকল্প মুখ থুবরে পরে আছে ? এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব বলেন, তহবিলে টাকা না থাকার কারনে ওই সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে বলে তিনি অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছেন।
এ ব্যাপারে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি সড়কটি পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।