

শরিফ মিয়া জামালপুর,,,
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলাধীন চরপুটিমারি ইউপি অবস্থিত ৪নংচর গ্রামের বুক চিরে অবস্থিত ব্রহ্মপুত্র নদীতে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে একটি চক্র। এতে হুমকিতে রয়েছে ৪নংচর হাইস্কুল এন্ড কলেজ,মাদ্রাসা, বাজার সহ শতাদিক বতসবাড়ি, এবছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়, এবছর ৪নংচর গ্রামে নদী ভাঙ্গনে প্রায় ৮০টির অধিক পরিবার ভূমি হীন হয়ে গেছে। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, নদীর পানি কমে গেলেও ভাঙ্গন আতঙ্গে রয়েছে স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে ঐ গ্রামের ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান(দুলাল)এমপি, ভাঙ্গন ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রান সহায়তা দেন স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর ড্রেজারে তীব্র মাত্রায় বালু উত্তেলন করায় নদী ভাঙ্গনের বেগ আরও বৃদ্ধি পায় আমরা এর প্রতিকার চায়।স্থানীয় আরও কয়েকজন মহিলা বলেন, ‘বারবার নদীভাঙনের কারণে আমরা দিশাহারা অবস্থায় আছি। এখন আমাদের কোনো ভিটেমাটি নেই। এর মূল কারণ নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ব্রহ্মপুত্র নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। তখন থেকে ভাঙনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। বালু তোলা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই। তা না হলে একসময় এই গ্রামের কোন অস্তিত্বই থাকবে না। ৫ বার নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ওই গ্রামের বাবুল। তিনি বলেন, ‘নদী এখন বেশি ভাঙ্গছে এর মূল কারণ হচ্ছে নদী থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি,আমাদের বাঁচান।স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একদিকে নদী ভাঙ্গন অন্যদিকে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। অবিলম্বে এটা বন্ধ না করলে আমাদের মাথা গোঁজার জায়গা থাকবে না।’ তিনি আরও বলেন, গত বছর বন্যায় তীব্র ভাঙ্গন বন্ধ করতে স্থানীয় সাংসদ ফরিদুল হক খান (দুলাল)এমপি মহোদয় আমাদের গ্রামকে রক্ষার জন্য প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা খরচে জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ করান, এ কাজের ফলে শুরুতে ভাঙ্গন কম থাকলেও ড্রেজার বসানোর ফলে জিও ব্যাগ সহ নদী গর্ভে যাওয়া শুরু করেছে, আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই যেন অবৈধ ড্রেজার মেশিন বন্ধ করা হয়। এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী মুঃ তানবীর হাসান (রুমান) বলেন, আমি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।