

মোঃ বাবলু মল্লিক, (নড়াইল) প্রতিনিধি ঃ
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাঐসোনা ইউনিয়নের ডুটকুড়া গ্রামের সাগর পোদ্দার ওরফে (ভিমের) স্ত্রী রেখা পোদ্দার মেয়েক হারিয়ে আত্মহত্যার পথে এগিয়ে যাচ্ছে এই গৃহবধূ। নড়াগাতী থানায় স্বামী সাগর পোদ্দার সহ আরো চার জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ। রবিবার (১৭ জুলাই) রেখা পদ্দার সাংবাদিকদের জানায়, প্রায় ২০/২২ বছর আগে মনিমোহন পোদ্দারের ছেলে সাগরের সাথে তা বিবাহ হয়। বিবাহ পরবর্তী তাদের সংসার ভালোই চলছিল। তাদের ঘরে তিন সন্তানের জম্ম নেয়। সংগীতা(১৯), সুস্মিতা (১৫) ও মানিক পোদ্দার(১২)। কিন্তু স্বামী, শশুর ও ভাসুর মনোজ পোদ্দার ম্যাগনেট ব্যবসায় নেমে জমাজমি খুইয়ে সর্বশান্ত হলে নৈতিক চরিত্র বিবর্জিত হয়ে পড়ে। পাশের তেরখাদা থানার নলিয়ার চর গ্রামের বেনজির(৫২) এর সাথে তাদের সখ্যতা হয়। এক পর্যায়ে বেনজির সাগরকে বাজার ঘাট করে দেওয়ার সুবাধে ঘন ঘন আমাদের বাড়ীতে যাতায়াত শুরু করে এবং সাগরের প্ররোচনায় আমাকে বিভিন্নভাবে কুপস্তাব দিতে থাকে। এমনকি শশুর, শাশুড়ী ও ভাসুরও কিছু হলে আমাকে বেনজিরকে দিয়ে শায়েস্তাা করার হুমকি দেয়।
এদিকে চেহারা ভাল হওয়ায় ২ বছর আগে ছোট মেয়ে সুস্মিতাকে ৭ম শ্রনীতে পড়া অবস্থায় গোপালগঞ্জের এক নেশাখোরের সাথে বিয়ে দেন অর্থলোভী বাবা সাগর পোদ্দার। বিবাহের ৩ মাস পরে সুস্মিতা শশুরালয় থেকে চলে আসে এবং গৌরীপুর নিউমডেল একাডেমী বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রনীতে ভর্তি হয়। লম্পট বাবার অভাবের সুযোগ নেয় বেনজির। রেখা ও তার মেয়ের ওপর কুদৃষ্টি পড়ে তার। মুখ খুললে স্বামীর অত্যাচার। এভাবে আমাদের জীবনটা অতিষ্ঠ করে দিয়েছে বেনজির। বর্তমান সুস্মিতা নিউ টেনে পড়ে। রবিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮ টায় তারই স্কুলের মিটুল মাষ্টারের কাছে পড়তে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। তার ব্যবহৃত ০১৭০৭৬৯৭৩৮১ নম্বর মুঠোফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় রেখা পোদ্দার বাবর বার মুর্ছা যাচ্ছেন এবং মেয়েকে উদ্ধারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই রাতেই তার স্বামী সাগর পোদ্দার, তার ভাই মনোজ পোদ্দার, তেরখাদা উপজেলার নলিয়ারর চরের বেনজির, ডুটকুড়া গ্রামের নিলরতনের ছেলে আশিষ মজুমদার ও সাবেক মেম্বার শংকর বাওয়ালীকে অভিযুক্ত করে নড়াগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, ভিক্তিম কে উদ্ধারের তৎপরতা চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।