
মোহাম্মদ এরশাদুল হক লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়াসহ চার উপজেলাকে ঘোষণা করা হয়েছে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত তবে পুটিবিলার পহরচান্দায় এবং পদুয়া ধলিবিলা এলাকায় ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য তৈরি করা আশ্রয়ণ প্রকল্পে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন এক চিত্র। তিনমাস আগে বরাদ্দপ্রাপ্ত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর বুঝিয়ে দিলেও ঘরে ঘরে ঝুলছে তালা।
২০ জুলাই পুটিবিলার পহচান্দা পদুয়া ধলিবিলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।স্থানীয়রা বলছেন, প্রকৃত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার ঘর পায়নি।তাদের প্রশ্ন যদি বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবারগুলো
গৃহহীন-ভূমিহীন হয় তারা কোথায়,কেন তারা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছে না।
অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি বরাদ্দপ্রাপ্ত উপকারভোগীরা ওই এলাকার না হওয়ায় কেউ সেখানে তাকতে চাচ্ছেনা এ বিষয়ে তারা বৈঠক করেছেন বাকী ঘর গুলো নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ওই আশ্রয়কেন্দ্রের ২০ থেকে ২২টি ঘরে ঝুলছে তালা দুয়েকটি ঘরে কেউ কেউ থাকলেও তারা কেউই ভূমিহীন কিংবা গৃহহীন নন বরাদ্দপ্রাপ্তরা তাদের আত্বীয়স্বজন। তাদের মারফতে তারা সেখানে থাকছেন। উদ্বোধনের আগে গভীর নলকূপসহ সব বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেও এখন বিদ্যুৎ সংযোগ আছে মাত্র তিনটি বাড়িতে। বাকিগুলো সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে কোন পরিবার না থাকায় আশপাশ থেকে গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব আলম শাওন ভুঁইয়া জানান, ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মুজিববর্ষের উপহার ঘর উপহার দেন। পুটিবিলা পহরচাদা আশ্রয়ণ প্রকল্পে দূরের লোকজনের নামে ঘর বরাদ্ধ থাকায় ওই ঘরে তারা থাকছে না। এখন চুনতিতে নতুন করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা তৈরি করে নতুন ঘর বরাদ্ধ দেওয়া হবে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ উল্লাহ বলেন,মুজিব বর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে কোন পরিবার না থাকার বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। বন্ধ ঘরগুলোতে নতুন করে ভূমিহীন পরিবার বরাদ্দ দেওয়া হবে।

Reporter Name 


















