
স্টাফ রিপোর্টার:
বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা আশ্রশুন প্রকল্পে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের মধ্যে ঘর প্রদান করেছেন। ২১জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননত্রেী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে গেীরম্ভা আশ্রয়ন প্রকল্পে ভার্চুয়ালী যুক্ত হন। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবতন বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, বাগেরহাট-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ঘরের দলিল ও চাবী গৃহহীনদের হাতে হস্তান্তর করেন। পর্যায়ে গেীরম্ভা আশ্রয়ন প্রকল্পে মোট ৮৫টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর প্রদান করা হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতে বলেন যে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে স্বদেশ প্রবর্তন করার ৪১তম দিনে গৃহহীনদের জন্য ঘর প্রদান কার্যক্রম শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী আঃ রব সেরনিয়াবাতকে ও ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা আমার পিতা সহ আমার পরিবারের সকল সদস্যদের নির্মম ভাবে হত্যা করে। ঘাতকেরা তার নিস্পাপ ভাইকে ও হত্যা করতে কুন্ঠা বোধ করেনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং বলেন যে, তিনি এবং তার বোন রেহানা বিদেশে থাকায় তারা জীবনে বেচে যান। তিনি বলেন যে, জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তিনি সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন যে, বাংলাদেশে একটি পরিবারও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। সবাইকে পর্যায়ক্রমে জমি ও ঘর প্রদান করা হবে।
বক্তব্য প্রদান শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার চরকলাকোপা আশ্রয়ন প্রকল্পে ভার্চুয়ালী যুক্ত হন। এর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা আশ্রয়নকেন্দ্রে ভার্চুয়ালী যুক্ত হন। বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আজিজুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এ সময় দুজন উপকারভোগী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন এবং তার আবেগাল্পুত হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে একজন দস্যু জীবন পরিত্যাগ করে স¦াভাবিক জীবনে ফিরে আসা আঃ হান্নান সরদার ও অন্যজন হলেন ঋষি সম্প্রদায়ের দেপাল। তারা কান্নাজড়িত কন্ঠে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, এক সময় তারা অনেক কষ্টে জীবন অতিবাহিত করতেন। তাদের থাকার কোন জায়গা ছিলনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ তাদের থাকার জায়গা করে দিয়েছেন। এজন্য তারা মহান আল্লাহর দরবারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেন।
গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার (এম.পি.), বাগেরহাট-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান, ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আরিফুল হক,রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কবির হোসেন সহ বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, রামপাল উপজেলা আওয়ামীলী ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপকারভোগী পরিবার ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Reporter Name 


















