
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেল স্বামী। স্বজনদের অভিযোগ নিহত আলপিনাকে (১৮) তার স্বামী হত্যা করেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে পুলিশ শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ১নং সিএন্ডবি এলাকার আফতাব উদ্দিনের বাড়ীতে। নিহত আলপিনা নেত্রকোনা জেলার পাড়াঠাকুর কোনা গ্রামের মৃত রহমত আলীর মেয়ে। অভিযুক্ত শাহীন মিয়া হলো নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানার কামতলা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। পুলিশ এ ঘটনায় শাহিনের মা নুরুন্নাহারকে আটক করেছে। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহতের বড় ভাই খাইরুল ইসলাম ও ভগ্নিপতি আমজাদ হোসেন জানান, গত এপ্রিল মাসের ৮ তারিখে আলপিনার সাথে শাহীনের বিয়ে হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী শ্রীপুরের ১নং সিএন্ডবি এলাকার আফতাব উদ্দিনের বাড়ীতে ভাড়া থাকতো। আলপিনা স্থানীয় জোবায়ের নামক কারখানায়, শাহীন মেঘনা নামক কারখানায় চাকুরী করতো। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছে। ঈদুল আজহার আগে শাহীন আলপিনাকে বেদরক মারপিট করেছিল। শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে তারা জানতে পায়, আলপিনা মারা গেছে। হাসপাতালে লাশ রেখে স্বামী শাহীন পালিয়ে গেছে। আলপিনার থুতনীর নিচে, গালে, কপালসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তারা অভিযোগ করে বলেন, শাহীন আলপিনাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আতœহত্যার নাটক সাজিয়েছে। নিজেই হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে গেছে। শ্রীপুর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা: আসমাউল হুসনা জানান, আলপিনাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সাথে আসা লোকজন লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে। খবর দিলে শ্রীপুর থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আরো জানান, আলপিনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শ্বাশুড়ী মোছা: নুরুন্নাহারকে আটক করা হয়েছে। স্বামী শাহীন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Reporter Name 

















