স্টাফ রিপোর্টার :
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সমিতির হাট বাজার দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে, আহতদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জামায়াত নেতা মাইনুল সর্দার ও উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি রেজাউল বেপারী নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সম্প্রতি সমিতির হাট বাজার ও ইজিবাইক সমিতির নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উক্ত ঘটনায় জামায়াতের রোকন, সমিতির হাট বাজার কমিটির বর্তমান সভাপতি মাইনুল সর্দার, জাতীয় শ্রমিক দলের সভাপতি রেজাউল বেপারী, ইজিবাইক সমিতির বর্তমান সভাপতি মোকশেদ ব্যাপারীর নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুলাল সরদার, জসিম হাওলাদার ও জামাল হাওলাদারের উপর চড়াও হয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে হামলা চালানো হয়। এ হামলায় নুরু হাওলাদার নামের একজনকে ডান পায়ে হারকাটা জখম করা হয়। মিয়াজ উদ্দিন হাওলাদার নামের একজনকে বোমা নিক্ষেপ করে হাতের কব্জি উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও জুলহাস হাং, জামাল হাং, মনির হাং, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মজনু হাং, দাদন হাং, খুকুমনি, দুলুফা বেগম সহ অন্তত ১৫-২০ জন কে মারাত্মক ভাবে আহত করা হয়েছে। আহতরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল, সেবাচিম হাসপাতাল, মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক। এ ব্যাপারে মাইনুল সরদারের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল সুইচ অফ পাওয়া যায়, এলাকায় গিয়েও তাকে খুজে পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনিকা তাসমিন জানান- কালাই সরদারের চরে দুর্ধর্ষ মারামারির ফলে কয়েকজনে অবস্থা আশাজনক বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামিম হোসেন বলেন- আমরা সরেজমিন প্রদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি, সাধারণ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেই দিক বিবেচনা করে সবসময় সমিতির হাট বাজারে ৬ সদস্যের একটি টিম দিয়ে টহল চালিয়ে আসছি। আমাদের কাছে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।