সেলিম চৌধুরী পটিয়া চট্টগ্রামঃ-
চাঞ্চল্যকর পটিয়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিমান ধরকে গলাকেটে নির্মমভাবে খুনের ঘটনার ৯ দিন পর ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার শাহগদী মার্কেট এলাকা থেকে পটিয়া থানা পুলিশের বিশেষ টিম আটক করেন।আটককৃতরা হলেন, জঙ্গল খাইন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়াডের লরিহরা গ্রামের মৃত ওবায়দুল হকের পুত্র জিল্লুর রহমান (২৬) ও ধলঘাট ইউনিয়নের ১ নং ওয়াডের বনিক পাড়ার সোনা রাম ধরের ছেলে বাপ্পু ধর (২৮)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সঞ্জয় কুমার ঘোষ জানান, স্বর্ণ ব্যাবসায়ী বিমান ধরের খুনিদের ধরতে আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ বিশেষ টিম কাজ করে আসছি। তবে ঘটনাটি ক্লু লেস হওয়ায় আমাদেরকেও বেগ পেতে হচ্ছে। যে দুই জনকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে আমি আশা করছি তাদের কাছ থেকেই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে। এদিকে গ্রেফতারকৃত ২ জনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পটিয়া জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক বিশ্বেস্বর সিংহের আদালতে হাজির করে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তাদেরকে ৫ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহত বিমান ধরের ছোট ভাই রিমান ধর বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন রাহাত্তার পুল এলাকায় কেবি আমান আলী সড়কের চাঁন্দাপুকুর পাড়ে সৌদিয়া গোল্ড ফ্যাশন নামে নিহত বিমান ধরের একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। গত মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রতিদিনের ন্যায় চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেল যোগে পটিয়ার গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের লড়িহরা নুর আহমদ সড়কে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে অন্ধকারে দূবৃর্ত্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিমান ধর কে ধারালো ‘দা’ (অস্ত্র) দিয়ে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। পটিয়া থানার পরিদর্শক ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, বিমান ধরের খুনের ঘটনায় তার ছোট ভাই রিমান ধর বাদি হয়ে অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। আমরা এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর একাধিক টিম সর্বোচ্চ গুরুত্বদিয়ে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে রিমান্ডে আনা হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।