পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
পটিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী কর্তৃক উর্মি আকতার (২১) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত পরিবারের অভিযোগ উর্মিকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন। নিহত গৃহবধু পৌরসদরের ৬নং ওয়ার্ডের জসিম উদ্দিনের স্ত্রী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে। ঘটনার পর পরেই স্বামী পলাতক রয়েছে। জানা গেছে, পটিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহীনুর ইসলামের কন্যার সঙ্গে ৩ বছর পূর্বে ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল গফুরের পুত্র জসিম উদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের পরিবারের অশান্তি চলে আসছে।গৃহবধূর ভগ্নিপতি মো. ইদ্রিস জানিয়েছেন, প্রায় সময় জসিম উদ্দিন ইয়াবা সেবন করে উর্মিকে মারধর করতো। তাছাড়া জসিম থানা পুলিশের একজন তালিকাবুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। সে সাম্প্রতিক সময়ে জেল থেকে বের হয়। মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে উর্মিকে মারধর করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে দেওয়া হয়েছে। শ^শুড় পরিবারের লোকজন মরদেহ পটিয়া হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গৃহবধূকে হত্যা করার খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে ছুটে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেন। গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এইটি হত্যা না আতœহত্যা এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। এছাড়াও পটিয়া পৌরসভার বৈলতলী রোড়ে একটি ইয়াবা ব্যাবসায়ীর সিন্ডিকেট রয়েছে। দীর্ঘদিন ইয়াবা ব্যাবসা চালিয়ে আসলেও পুলিশ তাদের কে আইনের আওতায় আনতে পারেনি। তারা ইয়াবা ব্যাবসার পাশাপাশি মানুষে জায়গা দখল-বেদখল কন্টাক নেন। যার ফলে সাধারণ মানুষ আতংকে রয়েছে বলে এলাকার লোকজন সুএে জানা যায়। সচেতন মহল এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।