পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ-
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় মের্সাস বাগদাদ ট্রেডিং কোং এর কর্মচারী মুহাম্মদ খোরশেদ আলম চৌধুরীকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশে দিলেন আদালত। সে পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড উত্তর গোবিন্দারখীল এলাকার মৃত ইসমাইল চৌধুরী পুত্র। গত ১৬ জানুয়ারী পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ কৌশুলী যুক্তিতর্ক শেষে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন বলে বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোটেক বাদল কান্তি সরকার জানান। মামলা সূত্রে জানাযায়,পটিয়া পৌরসভার স্টেশন রোড এলাকায় মেসার্স বাগদাদ ট্রেডিং কোং মালিক নুরুল আলম চৌধুরী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য মুহাম্মদ খোরশেদ আলম চৌধুরীকে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন। সে বাদী’র প্রতিষ্টানের ৮কোটি টাকা বিভিন্ন সু-কৌশলে আত্মসাৎ এবং বাদীর প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করিয়া আসামীর তার নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা বিনিযোগ করে আত্মসাৎ করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৭/১১/২০২২ইং তারিখে মেসার্স বাগদাদ ট্রেডিং কোং মালিক নুরুল আলম চৌধুরী ৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে (জি.আর. মামলা নং-৪২৪/২২) একটি মামলা দায়ের করেন কর্মচারী খোরশেদ আলম চৌধুরী’র বিরুদ্ধে। উক্ত মামলায় খোরশেদ আলম চৌধুরী’র মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ফৌ: মিস মামলা নং-৬৩৬২০/২২ মূলে গত ২০/১১/২০২২ তারিখে ০৬ সপ্তাহের জামিনে আসেন। গত ০৫/০১/২০২৩ইং তারিখে পুনরায় জামিন প্রার্থনা করেন চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে। কিন্তু উক্ত দিন মামলা শুনানী চলাকালীন খোরশেদ আলম চৌধুরী’র উপস্থিত না হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তীতে গত ১৬/০১/২০২৩ ইং তারিখে পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের প্রার্থনা করিলে বিজ্ঞ কৌশুলীর যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক আসামী খোরশেদ আলম চৌধুরীকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী মেসার্স বাগদাদ ট্রেডিং কোং মালিক নুরুল আলম চৌধুরী জানান, প্রতিষ্ঠানে টাকা আতœসাৎ করার অভিযোগে মামলা করায় প্রতিপক্ষে খোরশেদ আলম চৌধুরী বিভিন্ন ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে আমি পটিয়া থানা ও পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাধারন ডায়েরী করেছি। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তহীনতায় ভূগছি এবং প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।