শামীম আরা শিপ্রা:
হে একুশ তুমি আসলেই যেন শুনতে পাই
সেই প্রতিধ্বনি রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই।
বাংলা চাই বলে শ্লোগানে ঝাঁঝালো ..
ভাষা সৈনিকের রাজপথ কাঁপানো কণ্ঠধ্বনি।
রক্তের বিস্তীর্ণ পথ মাড়িয়ে এনেছিলে বাংলার বাকধ্বনি।
তুমি এনেছিলে বায়ান্নোর স্রোত ধারায় উচ্ছল চঞ্চল …
বহমান নদীর মতো জীবনালেখ্য।
তোমার আন্দোলনের স্রোতস্বীনি পথ বেয়ে …
স্বাধীনতার সুপ্ত বীজ হয়েছিল গ্রোথিত।
তুমি আমাদের স্বপ্ন সারথি,
ঘোর অমানিশার অন্ধকারে এ জাতিকে দিয়েছিলে যেন
অমিত্রাক্ষর ছন্দের সেই দিশা।
আমাদের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা প্রাণোচ্ছল প্রনোদিত স্পন্দনে…
প্রানে এনেছিলো এক আশা।
তুমি এসেছিলে বেদনার ডালি সাজিয়ে …
এসেছিলে পাক শাসনের রক্তচক্ষু কে উপেক্ষা করে।
ওরা আমাদের টুটি চেপে সজোরে করেছিলো রাজপথ অবরুদ্ধ,
অবরুদ্ধ পথে বুক চিতিয়ে বাংলার জয়গান গেয়ে ওদের …
পথ করেছিলে রুদ্ধ।
শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়েছিল রাজপথের শোভিত চিত্র,
পাকশাসনের শৃঙ্খলে আবদ্ধ শেকল ভেঙে বাংলাকে করেছিলো মুক্ত।
রফিক, শফিক, জব্বার, বরকত,
সালাম আরো নাম না জানা ভাষাসৈনিক প্রনেতাবৃন্দ,
তোমরা রয়েছো বাঙালির হৃদয় মন্দিরে পিন্জরাবদ্ধ।
তোমারে স্মরি প্রতিবার একুশের ডালি সাজাই,
সযত্নে লালন করি হৃদয় মম
তোমাদের মহান আত্মত্যাগের
মহিমান্বিত বাংলাকে স্যালুট জানাই।