নিজস্ব প্রতিবেদক, টি.এম শাওন
চৈত্রের রাত্রি শেষে, সূর্য আসে নতুন বেসে, সেই সূর্যের রঙ্গিন আলো, মুছে যাক সকল দুঃখ। দেশ এবং প্রবাস যে যেখানেই আছেন সবাইকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দৈনিক নতুনখবর পাঠকের জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা’র সম্পাদক, আলমগীর হোসেন, গাজীপুর সদর প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, শ্রীপুর সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি, গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য, মানবতার ফেরিওয়ালা, আলমগীর হোসেন। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, আজ (১৪’ই এপ্রিল ২০২৩ইং) শুক্রবার, পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতির দিন, বাঙালির মহামিলনের দিন। এদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণে নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে সবাইকে আজ নব-আনন্দে জেগে ওঠার উদাত্ত আহ্বান জানাই। পহেলা বৈশাখ বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য। মোগল সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা সময়ের পরিক্রমায় আজ সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাঙালির আত্মপরিচয় ও শেকড়ের সন্ধান মেলে এর উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে। পহেলা বৈশাখের দিকে তাকালে বাঙালি তার মুখচ্ছবি দেখতে পায়। বৈশাখ আমাদের নিয়ে যায় অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়নে, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে, অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। পহেলা বৈশাখ নতুন ভাবনা, নতুন এক মাত্রা নিয়ে আসে আমাদের মাঝে। বিগত বছরের গ্লানি, পুরাতন স্মৃতি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে আমরা এগিয়ে যাবো – এবারের নববর্ষে এ হোক আমাদের প্রত্যাশা। আলমগীর হোসেন, আরো বলেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে খ্রিষ্টীয় বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত। খ্রিষ্টাব্দ তাই জাতীয় জীবনে এবং প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। একজনের আনন্দ যেন অন্যদের বিষাদের কারণ না হয়’ সেদিকে খেয়াল রেখে নববর্ষ উদযাপন করতে হবে। নতুন আশা নতুন প্রাণ, নতুন হাসি নতুন গান,নতুন সকাল নতুন আলো,নতুন দিন হোক ভালো, দুঃখকে ভুলে যাই, নতুনকে জানাই স্বাগত। সকলকে জানাই, বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও শুভ নববর্ষ ১৪৩০