

মোঃ খোরশেদ আলম ব্যুরো প্রধান :
শনিবার (২ডিসেম্বর) সকাল ৯.৩০ মিনিটে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ছুপুয়া এলাকায় অবস্থিত পোষাক প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান আমির শার্ট- কর্মরত প্রায় ৩ হাজার গার্মেন্টস কর্মী নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার সময় একে অপরের সাথে সংঘর্ষ ও পড়ে গিয়ে পদদলিত হয়ে অনেক শ্রমিক আহত হয়। এদের মধ্যে তিন জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, তিন তলা ভবনে স্থাপিত গার্মেন্টস ফেক্টরী আমির শার্টে সকাল ৮টায় কাজ শুরু হওয়ার প্রায় দেড় ঘন্টা পরই ভুমিকম্প অনুভুত হলে শ্রমিকরা একযোগে নিচে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন নিচের সকল গেইট বন্ধ থাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে। শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুমিকম্পের সময় আতংকিত হয়ে সকল শ্রমিক একসাথে চিতকার করলে ফ্যাক্টরি এরিয়ায় ভিতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে স্থানীয়রা উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে গেইটের নিরাপত্তারত সিকিউরিটিরা গেট নাখুলে শ্রমিকদের পুনরায় ফ্যাক্টরি ভবনে ফিরে যেতে বলে। এতে ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিক ও বাহিরে জমা হওয়া ব্যক্তিরা সচেষ্ট হয়ে একযোগে বাহিরের গেট ভেঙে আহত শ্রমিকদের বেরকরে হাসপাতালে প্রেরন করে।
তখন আমির শার্টে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকলে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা তন্ময়ের নেতৃত্বে (ওসি তদন্ত) মনিরুজ্জামান, এসআই মতিন, কুদ্দুস, ডিএসবি আরিফ, হারুন, বেলালসহ পুলিশের একটি দল ও মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশ এবং চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনা স্থলে দ্রুত পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের প্রধান ডাক্তার মোঃ গোলাম কিবরিয়া (টিপু)বলেন, আজ ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আমির শার্ট গার্মেন্টস থেকে প্রচুর আহত রুগী আসলে ৮০ জনকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকি। এরমধ্যে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শাহিদা আক্তার ও অন্য দুই জনসহ ৩ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, আমরা কোন নিহতের সন্ধান পাইনি।
শ্রমিকদের কয়েকজন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন, এখানে কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার ও কারণে শ্রমিকরা ভয়ে তটস্থ হয়ে গিয়ে বেশি আহত হয়। ভুমিকম্পের সাথে সাথে শ্রমিকদের আটকে নারেখে যদি সকল গেইট খুলে দেওয়া হত তবে এত বেশি মানুষ গুরুতর আহত হতনা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় উদ্ধারকারী দুই জন বলেন, এই ফেক্টরীর মালিক তমিজউদদীন সেলিম বর্তমানে স্থানীয় এমপির বিরোধী হওয়ায় এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ভাবে শ্রমিকদের অসন্তোষ সৃষ্টি করে কেউ কেউ পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছিল।