

মতিন গাজী (স্টাফ রিপোর্টার)
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ১নং প্রেমবাগ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বনগ্রামে জমিতে থাকা গাছপালা ও লাউ গাছের টাল সরানো কে কেন্দ্র করে আপন ভাইয়ের ছেলের হাতে মারধোরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হয়েছে ৬৫ বছর বয়সের কৃষক কাদের মোল্লাকে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ দুপুর ২:৩০ মিনিটের দিকে উক্ত মারামারির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় আহতের ভাইপো সাজ্জাদুল ইসলাম (২৩) অভয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগকারী সাজ্জাদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমিতে লাগানো গাছপালা ও লাউ গাছের টাল সরানো নিয়ে মূলত গ্যাঞ্জামের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গ্যাঞ্জাম থেমে গেলে উভয়পক্ষ নিজ,নিজ বাড়িতে চলে আসে কিন্তুু বাড়ি আসার পর আহত কাদের মোল্লার সাথে উক্ত বিষয়টি নিয়ে তারই আপন ভাইপো মিজানুর রহমান (লাল্টু) ৩২ এর সাথে আবারো কথা কাটাকাটি শুরু হয় এক পর্যায়ে বিবাদীদ্বয়েরা আমার ভাইয়ের উপর চড়াও হয় এবং আমার ভাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে।এক পর্যায়ে উত্তেজনা টের পেয়ে উক্ত স্থান থেকে সরে আমার ভাই বিবাদীদ্বয়কে গ্যাঞ্জাম ফ্যাসাদ করতে নিষেধ করে কিন্তুু তার কথায় কর্ণপাত না করে অভিযুক্ত সোহেল মোল্লা (৩২) ও তার পিতা শহীদ মোল্লা ধারালোর দাও ও বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে আমার চাচাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, একপর্যায়ে আমার চাচা ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে ১নং আসামি সোহেল মোল্লা তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার চাচার মাথায় হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারে এবং ২নং আসামি শহীদ মোল্লার হাতে থাকা বাসের লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। আমার চাচা গুরুতর আহত এবং রক্তাতো হয়ে জখম হলে, চাচার চিৎকার শুনে বাড়ির অন্য সদস্যরা বেরিয়ে এসে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অভিযোগের বিষয়ে আরো জানতে আহতের উদ্ধারকৃত ১নং শের আলী (৫৫) ও ২নং সাক্ষী শিউলি বেগম (২৫) গণমাধ্যমকে বলেন। আত্মীয়-স্বজন,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শহীদ আলোচনা করে সুফল না পেয়ে থানায় অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি। যার জন্য অভিযোগ করতে একটু দেরি হয়েছে। আহতের অবস্থা খুবই গুরুতর,ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কোপানো হয়েছে এবং বাসের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে যার ফলে, মাথার অবস্থা আশঙ্কাজনক ও বাম হাতের কবজি ও কনুইয়ের উপরের হাড় ভেঙে গেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি সুষ্ঠো বিচারের। যাতে করে আসামিদেরকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলামকে রবিবার দুপুর ২:৩৫ মিনিটে ও ২:৩৭ মিনিটে কল করলে তার ফোন রিসিভ হয়নি। পরে দায়িত্বে থাকা এ.এস.আই আলমগীর হোসেনের কাছে অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন,অভিযোগ পেয়েছি সত্যতা যাচায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম রোগীর মাথায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি এখন ঘটনা স্থানে যেয়ে তদন্ত করব অভিযোগ অনুযায়ী সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।