রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা:
আজ ৫ই এপ্রিল শুক্রবার, ঠিক দুপুর সাড়ে বারোটায , ৭টি মঞ্চের চাকুরি প্রার্থীরা, এক ঐতিহাসিক মিছিল ডেপুটেশন দিলেন, বিশাল মিছিল চাকরি প্রার্থীদের কলেজ স্কোয়ার থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত আসে।
এই মিছিলে যে সকল মঞ্চ উপস্থিত ছিলেন, তারা হলেন যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ xi-xii, ডব্লু বি জি ডি আর বি ২০১৭ গ্রুপ ডি ওয়েটিং ঐক্যমঞ্চ- রাজ্য গ্রুপ ডি, ২০১৪ প্রাইমারী টেট পাস ট্রেড নট ইনক্লুটেড একতা মঞ্চ, যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ শারীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষা, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাস প্রার্থী মঞ্চ,
এবং ২০০৯ দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষক বঞ্চিত চাকুরী প্রার্থী মঞ্চ।
একটি বিশাল মিছিল যখন কলেজ স্কোয়ার থেকে এসেন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্ম তলায় প্রবেশ করেন এবং ধর্মতলা চত্বরে চাকুরী প্রার্থীরা বিভিন্ন দাবী নিয়ে ডরিনা ক্রসিং এ বসে পড়েন, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ অফিস্যারদের সাথে কথা কাটাকাটি হতে হতে একটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং চাকুরী প্রার্থীদের কয়েকজনকে জোর করে ভ্যানে তুলে নেন, চাকরী প্রার্থীদের কোনো কথায় কর্ণপাত করেননি প্রশাসনের অফিসারেরা, দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ বছর ধরে একই দাবী জানিয়ে আসছে এবং উপযুক্তদের চাকরী র দাবী নিয়েই তাদের ধর্ণা ও মিছিল,
তারা জানান আমাদের অর্ধেকটা সময় সরকার নষ্ট করে দিয়েছে, আমরা আজ মৃতের সমান, তারা আজকেই মিছিলের মধ্য দিয়ে একটি অভিনব ঐতিহাসিক মহা মিছিল করলেন, কাঁধে মৃতদেহ বহন থেকে শুরু করে চাকুরী প্রার্থীদের একটি ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করেছিলেন ,শুধু তাই নয়, শিক্ষা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর একটি কুশ পুতুল তৈরি করেছিলেন যেটি মিছিলের মধ্য দিয়ে পোড়ানো হয়, এমনকি দেশে যে আইন বলে নাই তারও একটি মডেল তৈরি করেছিলেন, টাকার বিনিময়ে চাকরী বিক্রি হচ্ছে তারও মডেল তৈরি করেছিলেন, এইভাবে সারা রাস্তা তাদের একটাই স্লোগান ছিল যোগ্যদের চাকরি চাই ,মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই। বঞ্চিতদের চাকরি চাই। চোরেদের বিচার চাই। এইভাবে যখন স্লোগান দিতে দিতে মিছিল ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এ ডেড বডিটা নামিয়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন, তখনই পুলিশ অফিসারদের সাথে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এবং এখান থেকেই তাদের কজনকে জোর করে চ্যাংদোলা করে গ্রেফতার করে ভ্যানে তুলে নেন।
চাকরি প্রার্থীদের দাবি ছিল, ১০ বছর ধরে একটাই, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই, সমস্ত যোগ্য কর্মপ্রার্থীদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে , পড়ে থাকা শুন্য পদ গুলি পূরণ করতে হবে , অতিরিক্ত শুকনো পদ তৈরি করে পড়ে থাকা যোগ্যদের চাকরি দিতে হবে।
আর এর সাথে সাথে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কিছু প্রতিশ্রুতি ও তুলে ধরেন চাকরি প্রার্থীরা, বলেন ভোট আসলেই একের পর এক প্রতিশ্রুতি ,তারপর সেটি ঢপের চপের মতো ও ললিপপের মতো হয়ে যায়, আমরা হই দুর্নীতির শিকার ও বঞ্চিত।
আর নয় আমাদের একটাই দাবি অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ চাই, আমাদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে। চাকরি বিক্রি করছে সেই সকল চোরদের শাস্তি দিতে হবে