বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:১১ অপরাহ্ন [gtranslate]
Headline
Headline
পটিয়ায় খাজা গরীবে নেওয়াজ ওরশ পরিচালনা কমিটি সদস্যদের মাঝে পাঞ্জাবি ও দুপাট্টা বিতরণ  কাওরাইদ ইউনিয়নের বিদাই গ্রামে ওরশ ও বাউল গান অনুষ্ঠিত গাজীপুর ৬৩ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) কর্তৃক শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ মধুপুরে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা শ্রীপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের শীতবস্ত্র বিতরণ পটিয়া বাইপাসে  কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বৃদ্ধি, বাড়ছে চুরি ছিনতাই  নড়াইলে ঐতিহবাহী ঘোড়দৌড় প্রদিযোগিতা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাথরেরচর বিজিবির আয়োজনে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গাজীপুরে মাটিচাপা অবস্থায় জীবিত নবজাতক উদ্ধার,সমাজসেবায় হস্তান্তর পৌষ সংক্রান্তি মেলা শেকড়ের টানে ঐতিহ্যের উজ্জ্বল প্রদীপ রামপাল কলেজে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নড়াইলের চন্ডীবরপুরে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক-৩ সারাদেশে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন রামপালে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির লিফলেট বিতরণ পটিয়া আমির ভান্ডার দরবারের ওরশ ১৫জানুয়ারি  মাইক ও ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ৭ দফা দাবি আদায়ে আমতলীতে স্বারকলিপি প্রদান ২৬ জানুয়ারি খাজা গরীবেনেওয়াজ ওরশ সফল করতে পটিয়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কে জিম্মি করে হত্যার চেষ্টা অভিযোগে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ আটক মোংলায় গেইটম্যানের অবহেলায় ট্রেনে কাটা পড়ল শিশু মরিয়ম  নীলফামারীতে সোনালী ব্যাংকের উপ-শাখায় আগুন; নথিপত্র, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভষ্মিভূত
কম খরচে বেশি লাভের আশায় নীলফামারীতে বাড়ছে বাদামের চাষ
/ ৫৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

তপন দাস নীলফামারী প্রতিনিধি:
বেশি লাভের আশায় নীলফামারীতে বাড়ছে উচ্চ ফলনশীল চিনাবাদামের চাষ। কম ঝুঁকি, ব্যাপক চাহিদা ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে বেড়েছে বাদামের চাষ। কম খরচে বাদাম চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের।

সরেজমিন মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। বেলে দো-আঁশ মাটিতে বাদামের চাষ ভালো হওয়ায় ডোমার উপজেলায় ছড়িয়ে পরেছে বাদাম চাষ। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে তেমন শ্রম দিতে হয় না। এছাড়া অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদামে রোগবালাই কম থাকায় কীটনাশক প্রয়োগের ঝামেলা কম। ফলন ভালো হতে মাঝে মধ্যে কয়েকবার ছত্রাকনাশক স্প্রে করলেই ফসল ভালো হয়। বাজারে বাদামের ভালো দাম থাকায় গত কয়েক বছর ধরে বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এখানকার চাষিরা।

নীলফামারী জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার নীলফামারী জেলায় ৬টি উপজেলায় ১ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৩৭৭ মেট্রিক টন।

কৃষি বিভাগ জানায়, বাদাম চাষের জন্য উপযোগী জেলার খালিচা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, বালাপাড়া, ঝাড়সিংশ্বর চর, তিস্তার চর, চিলমারীর ডাঙ্গা, বড় রাউতা, চিলাই, জলদান পাড়া, বগুড়ার ডাঙ্গা ও ভোগডাবুড়ীসহ অনেক এলাকায় বাদাম চাষ হয়।

ডোমার চিকনমাটি এলাকার বাদাম চাষি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আগে পাট চাষ করতাম। এখন বাদাম চাষ করি। ২০ বছর থেকে বাদাম চাষ করি। প্রতি বিঘা ১৪-১৮ হাজার টাকা খরচ পড়ে। বাজারে তা বিক্রি করি ৪০-৫০ হাজার টাকা। বাদাম চাষাবাদে খরচ কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর ২ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ২০ কেজি বীজ লাগাতে হয়। প্রতি কেজি বীজ ২০০ টাকা করে। প্রতি বিঘায় ১০-১৪ মণ ফলন হয়ে থাকে। ফাগুন মাসে বীজ বপনের পর জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষদিকে বাদাম জমি থেকে সংগ্রহ শুরু করবো।’

আরেক কৃষক বড় রাউতার আলী হোসেন বলেন, ‘বীজের বাদাম আমি নিজেই আবাদ করি। তাতে বাদাম চাষে আমার খুব অল্প খরচ পড়ে। বাদাম চাষ করে পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে। তিন ধরনের বাদাম এই এলাকায় জনপ্রিয়। এর মধ্যে চিলমারি, হাইব্রিড ও লরি আছে। তবে হাইব্রিড ও লরি জাতের বাদামের দাম কিছুটা বেশি। উচুঁ ও বালু মাটির জন্য বাদাম চাষ উপযুক্ত।’

চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের বাদাম চাষি রুবেল ইসলাম বলেন, ‘বাদাম মাটিতে রোপণের আগে জমি ভালো করে চাষ করতে হয়। জমিতে ৩-৪টি চাষ দিতে হয়। কারণ মাটি নরম থাকলে বাদাম আকারে বড় হয়। বাদাম ঘরে তোলা পর্যন্ত ২-৩ বার জমিতে স্প্রে করতে হয়। প্রতি স্প্রেতে বিঘায় খরচ হয় ২০০ টাকা করে। প্রতি বিঘায় দুইবার সার দিতে হয়। পটাশ ও ঢেপ সার ২০ কেজি করে দিতে হয় বিঘাপ্রতি।’

ডিমলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চর কিসামতের কৃষক আরিফ হোসেন বলেন, ‘বাদাম চাষ করতে তেমন খরচ করতে হয় না। পরিশ্রমও কম করতে হয়। তাই এ বছর ১০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ভালো ফলনের আশা করছি। বাজারদর ভালো পেলে লাভবান হতে পারবো।’

ডোমার সদর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনেশ্বর রায় বলেন, ‘এলাকায় কম খরচে উচ্চ ফলনশীল চিনাবাদাম উৎপাদনের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিচ্ছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে চিনাবাদামকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমাণ ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকি।’

ডোমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাদামের ভালো ফলন আশা করছে কৃষি বিভাগ। কৃষক আমন ও আলু ওঠানোর পর বাদাম চাষ করেন। বাদাম তুলে আমন ধান লাগানো হয়। বছরে জমিতে তিনটি ফসল চাষ করতে পারছেন কৃষকেরা। এতে কৃষক সবদিক দিয়ে লাভবান হচ্ছেন।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চিনাবাদাম একটি লাভজনক অর্থকরি ফসল। তাই কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিতে উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page
January 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031