রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস ,কলকাতা:
১১ ই মে শনিবার বিকেল তিনটায়, কলেজ স্ট্রীট , নির্মল ভবনের, দ্বিতীয় তলের কনফারেন্স রুমে, আগামীর পদক্ষেপ আয়োজিত , বৈঠকে আড্ডার আয়োজন হয়। এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ,কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, অধ্যক্ষ, অভিনেতা-অভিনেত্রী, বাচিক শিল্পী , বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে অন্যান্যরা সাংবাদিক বন্ধুরা। এই সাহিত্য আড্ডায় একটু ট্যাকলাইন ব্যবহার করেছেন…. আসুন দেখা হোক, গল্পকথায় ভরে উঠুক আজকের এক বিকেল।
উপস্থিত ছিলেন বাম ও কংগ্রেস জোটের – অধ্যাপক শ্রী প্রদীপ ভট্টাচার্য, অভিনেতা বাদশা মৈত্র, লেখক ও অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেত্রী ও পরিচালক মানসী সিনহা, লেখিকা ও কবি মন্দাক্রান্তা সেন, শিক্ষাবিদ তানভির নাসরিন, পরিচালক ও অভিনেতা সৌমিত্র দস্তিদার, আইনজীবী ফিরদৌস শামীম, রাজনীতিবিদ সমিক লাহিড়ী, লেখক রিজুরেখা চক্রবর্তী, ইমারুল হক, অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস ,রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সুমন ভট্টাচার্য , নন্দিনী ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।
আজকের বৈঠকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, আজকের আড্ডা যারা আয়োজন করেছেন আমি ধন্যবাদ জানাই। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বৈঠক একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রাখতে এটির প্রয়োজন আছে, এটি দীর্ঘদিন ধরে পালন করে আসছে, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে সমাজ জীবনের বিবর্তনে ধারাবাহিকতা কেমন করে ঘটতে পারে তাহা যেমন চিহ্নিত হয়েছে একসময়, তেমনি সাহিত্যের মধ্যে যে ঘটনা ঘটে চলেছে, তাকে ফিরিয়ে আনতে সকলকে সঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে। পতাকার রং নিয়ে রাজনৈতিক লড়াই যাই হোক না কেন, সমাজ জীবনে যে সকল ঘটনা ঘটে চলেছে , আর মনুষ্যত্ব বোধ যদি হারিয়ে ফেলি, কোনদিন সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না ,তাই অতি অবশ্যই আমাদের দরকার সঙ্ঘবদ্ধ হওয়া সকলকে নিয়ে। নাহলে মনে পশু শক্তির আবির্ভাব হবে। রাজনৈতিক মতামত ও রাজনৈতিক অধিকার সবার আছে, এই অধিকার না থাকলে সমাজে কোন কিছু আলোচনা করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে অভিনেতা রাহুল বন্দোপাধ্যায়, বাদশা মৈত্র ও অভিনেত্রী মানসী সিনহা বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকেই জেনে এসেছি জীবনের মানে হচ্ছে রাজনীতি, এবং আজ ৫৫ বছরেও রাজনীতি নিয়েই বড় হয়েছি, এবং ছোটবেলা থেকেই নাটক ও সিরিয়াল জগতে অভিনয় করতে করতে জগৎটাকে চিনতে শিখেছি। কিভাবে সাহিত্যকে নিয়ে নোংরামো করা হচ্ছে, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা কে ধ্বংস করতে চলেছে, এটা কখনোই কারো মানা সম্ভব নয়। সাহিত্য যদি না বাঁচে রাজনীতিও বাঁচতে পারে না। সবাই রাজনীতির আড়ালে নিজেদের আখির বোঝাতে ব্যস্ত, স্বার্থের দিকে নজর দিচ্ছে ,স্বার্থের কথা ভাবে, প্রতি পদে সাধারণ মানুষকে বিপদের মধ্যে ফেলে।
অন্যদিকে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাদশা মৈত্র বলেন, সাহিত্য এমন একটি জিনিস, যার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয় আসতে বাধ্য, তাহারা উদাহরণ স্বরূপ কল্লোল গোষ্ঠীর ইতিহাস তুলে ধরেন এবং কৃত্তিবাস থেকে শুরু করে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোথাও তুলে ধরেন। তাদের সাহিত্যকে তুলে ধরেন।, আপনারা বলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিপদে পড়তেন তখন ছুটে আসতেন কংগ্রেসের কাছে সাহায্যের জন্য। সাথে সাথে চাকরি প্রার্থীদের কথা উঠে আসে, কিভাবে সাধারণ ছেলেমেয়েদের পথে বসতে হয়েছে তার উল্লেখও করেন। শুধু তাই নয়, অনেক ঘটনায় এই আড্ডার মধ্য দিয়ে ও কবিতার মধ্য দিয়ে তুলে ধরেন। উপস্থিত সকল কবি সাহিত্যিক আইনজীবীরা। সবার শেষে আসন্ন ভোটে বাম ও কংগ্রেস জোটের প্রদীপ ভট্টাচার্যকে বিপুল ভোটে জয়ী করার কথাও উত্থাপন করেন। তিনি আজও একটি দলকেই বেছে নিয়ে চলেছেন,