স্টাফ রিপোর্টার :
প্রচণ্ড দাপদাহে যখন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে জীবন, তখন একটু স্বস্তি পেতে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে মধুমাসের ফল তাল শাঁস।
জৈষ্ঠ্য মাসকে বলা হয় মধু মাস, গ্রীষ্মের খরতাপে ভরপুর ফলের মৌসুমে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে পিপসাকাতর মানুষদের ব্যাপক চাহিদা হয়ে ওঠছে মৌসুমী ফল তালেরশাঁস। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সারা দেশে পড়ছে প্রচন্ড তাপদাহ ছিলো। কয়েক দফায় বৃষ্টি দেখা মিললেও বরাবরের মতো গরম কিন্তু থেকেই গেছে । আর এই প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন হয়ে ওঠেছে বিপর্যস্থ ও দুর্বিষহ। ফলের জন্য বিখ্যাত মধুমাস জৈষ্ঠ্যতে অন্যান্য ফলের পাশাপাশি তালের শাঁস কদর বেড়েছে স্বাভাবিকভাবেই। ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের কাছে প্রিয় এখন ফল এখন তালশাঁস। প্রচন্ড গরমে পিপাসাকাতর পথিকের তৃষ্ণা মেটায় এই তালশাঁস। গ্রামাঞ্চল ঘুরে ঘুরে তাল শাঁস কিনে শহরে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে অর্ধশতাধিক মানুষ। সাইজভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে এসব তাল শাঁস। কোনো কোনো ব্যবসায়ীরা ভ্যানযোগে পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন অলিগলিতে বিক্রি করছেন ভিটামিন এ, বি ও সি সমৃদ্ধ সুস্বাদু এই ফল।বাজারে আসা ক্রেতাদের হাতে হাতেও শোভা পাচ্ছে তাল শাঁস।
অনেক ক্রেতাকে পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে তাল শাঁস। রিকশাচালক থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ মৌসুমী ফল তালশাঁস কিনতে ভিড় করছে রাস্তার মোড়ে।
কথা হয় এক তালশাঁস বিক্রেতার সাথে, জিঙ্গেস করি কি রকম বিক্রী হয়? তিনি দৈনিক গণমুক্তিকে জানান প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মত বিক্রী হয়। তিনি আরো জানান সাইজ ভেদে প্রতিটি তাল শাঁস ৫ থেকে ১০ টাকা কিংবা প্রতিটি তাল ১০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কালের বিবর্তন আর নগরায়নের ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে তাল গাছ। তালের শাঁস খেতে অনেকটা নারকেলের মতই। কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অবিশ্বাস্য পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।
তথ্যমতে প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে রয়েছে ৮৭ কিলো ক্যালরি, ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, জলীয় অংশ ৮৭.৬ গ্রাম, আমিষ ৮ গ্রাম, ফ্যাট ১ গ্রাম, কার্বো হাইড্রেট ১০.৯ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ গ্রাম, রিবোফ্লাভিন ০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। এসব উপাদান আপনার শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা করাসহ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।