শরীফ সিকদার, কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার লোহাদী গ্রামে দশ মিনিটের বাতাসে উড়ে গেছে গ্রামের চারজনের বাড়ীর টিনের চাল ভেঙেছে শতাধিক গাছ।
আজ রবিবার বিকাল ৩:৩০ মিনিটে উপজেলার পূর্ব লোহাদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, কাপাসিয়া উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান এড মো আমানত হোসেন খান, কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুল হক চৌধুরী আইয়ুব, ইউপি চেয়ারম্যান আতাউজ্জামান বাবলু।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ী গুলো হলো, লোহাদি রমিজ উদ্দিনের বাড়ি, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ফারুক হোসেনের বাড়ি, রিয়াজ উদ্দিম মৌলভীর বাড়ী ও সুরুজ মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়ার বাড়ী।
ক্ষতিগ্রস্ত রিয়াজ উদ্দিম মৌলভী বলেন, আমি মাদরাসা থেকে বাড়ীতে এসে ভাত খেতে বসেছি। হঠাত বাতাসের একটা শব্দ হয়। পাঁচ মিনিটে বাড়ীর সবগুলো ঘরের টিনের চাল নেই। পরে ভয়ে জানালার পাশে জানালা ধরে বসে ছিলাম। বৃষ্টি ছিলোনা। বাতাসে বাড়ী ও আামার ৪০/৫০ টি গাছ ভেঙে পড়েছে।
তিনি বলেন, আমার বাড়ীর টিনের চাল নিয়ে গেছে। চাল খোঁজে পাচ্ছি না। আমাকে খোজে দেখতে হবে টিনের চাল কোথায় গেছে। এখন খোলা আকাশের নীচে বসে আছি।
তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখন কোথায় যাব? তবে, এই এলাকার বাইরে কোনো ক্ষতি হয়নি।
স্থানীয় রুহুল আমীন বলেন, আজ বিকাল ৩:৩০ টার দিকে হঠাত দেখি সব ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। তখন বৃষ্টি ছিলোনা। ভারী বাতাস ও কিছু সাদা ধুয়া বয়ে গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, আনুমানিক ২০০ শত কাঠাল গাছ, ৫০ টি সুপারি গাছ, শতাধিক কলাগাছ, শতাধিক পেঁপে গাছ সহ অন্যাণ্য ফলজ গাছ মাটির সাথে মিশে আছে।
গ্রামের রমিজ উদ্দিনের(৭০) বলেন, ঘর থেকে বের হয়ে দেখি বাতাস। আমরা ঘর থেকে বের না হয়ে বারান্দায় দাড়িয়ে ছিলাম। আমরা পাঁচ জন ছিলাম। আমার বিল্ডিং ঘর আছে চাল নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান আতাউজ্জামান বাবলু বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। এমন ঘটনা আমি কখনো দেখি নাই। এটা আামার কাছে আশ্চর্য মনে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম লুতফুর রহমান বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ইউপি চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে।
পাঁচ জন চৌকিদার রাতে ক্ষতিস্তস্ত বাড়ীর মালামাল দেখাশুনা করবে, জানান স্থানীয় চেয়ারম্যান।