তপন দাস, নীলফামারী:
অধিক লাভের আশায় আগাম আলু চাষের ব্যস্ত সময় পার করছে নীলফামারী জেলার আলু চাষীরা, স্বল্পমেয়াদি আগাম আমন ধান চাষ কাটা মাড়াই শেষ করে সেই জমিতে আগাম আলু চাষের প্রতি ঝুকে পড়েছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা নীলফামারীর আলু চাষীরা। এ অঞ্চলের জমিগুলে উচু বেলে দোআঁশ মাটি হওয়ায় এবং ভারি বৃষ্টি পাতেও জমিগুলোতে সহজে পানি না জমে মা তাই পানি না জমায় আলু নষ্ট হওয়ার তেমন কোন ভয় থাকে না। তাছাড়া ও বর্তমানে আলুর বাড়তি দামের কারণে আগাম বাজার ধরার লক্ষ্যে এ অঞ্চলে চাষিরা আগে ভাগেই আলু রোপন করছেন । ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে উত্তোলন যোগ্য সেভেন জাতের আলুর বীজ রোপনে কোমড় বেধে নেমেছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় এবছর আলু চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আগাম ধান ঘরে তুলে সেই জমিতে আগাম আলু রোপনের জন্য জমিতে হাল চাষ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ, হিমাগার থেকে বীজ আলু সংগ্রহ ও রোপনে শত শত আলু চাষি ও কৃষি শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছে ।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলুচাষি লুৎফর রহমান লুতুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন এবছর ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জমিতে আগাম জাতের সেভেন আলু রোপন করেছি অধিক লাভের আশায়, আশা করছি এবছর আলুর ভালো দাম পাবো। এদিকে উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর চৌধুরীপাড়া গ্রামের আলু চাষি ফজলে রাব্বি চৌধুরী টিপু বলেন এবছর তিনি ২০ থেকে ২২ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপন করছেন এবং দুরাকুটি গ্রামের কৃষক আকবর আলী বলেন গত বছর আমি ১০ বিঘা জমি আলু চাষ করেছিলাম সেখান থেকে অধিক লাভবান হওয়ায় এবার আমি ১৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি আর এবছর আলুর দাম ভালো পাবো বলে আশা করি।
এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন এবছর উপজেলায় ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এর মধ্যে আগাম আলু ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন ক্ষতি গ্রস্ত না হয় তাহলে ১ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর মেট্রিকটন আলু উৎপাদন আশা করা হচ্ছে । আরো আশা করা যায় যে উপজেলায় ৪ শ কোটি টাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।