

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
গাজীপুর জেলার ভাওয়াল রেঞ্জের সংরক্ষিত বনের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে একাধিক বসতবাড়ির রাস্তা। বনের ভেতর গজারি ও শালবনের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে, বন জঙ্গল সাফ করে অবাধে গড়ে তোলা হচ্ছে এসব রাস্তা।কৃষি জমি দেখিয়ে সহযেই সীমানা নির্ধারণের জন্য পেয়ে যাচ্ছে ডিমাগ্রেশন।পরর্বতিতে সে সকল কৃষি জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে বসত ঘড়। বন ধ্বংস করে ডিমাগ্রেশনের নামে বনের জমি ব্যবহার করে নির্মাণ সামগ্রী রেখে ঘর বাড়ি নির্মাণের সুযোগ করে দিচ্ছে বনের লোকজন।এতে সহযোগিতা করছে একটি দালাল চক্র। এতে করে দিন দিন কমে আসছে বিভিন্ন বিটের বনভূমি। অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দখলদারদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব ঘরবাড়ি ও রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই রেঞ্জের আওতাধীন রাজেন্দ্রপুর পশ্চিম বিট এলাকায় বনের বেহাত করে অর্থের বিনিময়ে একাধিক রাস্তা করে বাড়ি নির্মাণের সুযোগ করে দিচ্ছেন বিট কর্মকর্তা।কেউ বিট অফিসে অভিযোগ জানালে কিছু দিনের জন্য যাতায়াতের এসকল রাস্তা বন্ধ থাকলেও পরবর্তীকালে পুনরায় সচল হয়ে যায়।
উক্ত বিট এলাকার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোতাপাড়া থেকে করইতলি রাস্তা দিয়ে একটু সামনে এগুলে দেখা যায়, সিএস ১৯৫২ নং দাগে সাবেক বন প্রহরি আজাহার ভূইয়া ডামাগ্রেশন ছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে।কিছু দিন পূবে বন বিভাগের জমি দখল করে বাড়িতে যাতায়াতের জন্য মাটি ফেলে রাস্তা করেছেন।
রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা থেকে আরপিগেট যাইতে হালডোভা হাতের বাম পাশে সিমানা নির্ধারণ ছাড়াই এক ব্যক্তি মাটি ভরাট কার্যক্রম করছিল। পরবর্তীতে কেউ একজন অভিযোগ জানালে বাধা দিয়ে মাটি ভরার কার্যক্রম বন্ধ রাখেন বিট কর্মকর্তা। জমির চারপাশে চিকন পিলারে লাল রং দিয়ে প্রাথমিক সীমানা নির্ধারণ করে দেয় এবং জমিতে যাতায়াতের রাস্তায় এফডি পিলার এবং বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
হালডোভা থেকে করইতলি যাওয়ার রাস্তায় একটু সমনে এগুলে হাতে বামপাশে কামালের বাড়ির পাশে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে মোস্তফা নামে এক ব্যক্তি। ডিমাগ্রেশন ছাড়া বনভূমি বেহাত করে বন বিভাগের এফডি পিলার স্থাপন করে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে।
হালডোভা মার্কেটের পাশে শফিকুল বনের প্রায় তিন শতাংশ জমি দখল করে একটি একতলা দোকান ভবন নির্মাণ করেছেন,এখন তিনি নির্দ্বিধায় দ্বিতীয় তলার কাজ শুরু করছে।
নয়নপুর বিমান গেটের পশ্চিম পাশে মসজিদের পিছনে বনের সিএস ১৭১১ নং দাগে ডিমাগ্রেশন ছাড়া বনের জমি ব্যবহার করে ঘড় নির্মাণ করছে সেনাবাহিনীতে চাকরিরত সার্জেন্ট সোহেল। অভিযোগ আছে তিনি স্থানীয় বনের চিহ্নিত দালাল দেলোয়ার এর মাধ্যমে বিট অফিসারের সাথে দুই লক্ষ্য টাকার বিনিময়ে এই কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
নয়নপুর পল্লী বিদ্যুতে অফিসের সামনে আরিফের পাঁচতলা বিল্ডিং এর আগে হাতের বাম পাশে বন বিভাগের জমিতে বিদ্যুতের পিলার স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে।এছাড়াও পল্লী বিদ্যুত অফিসের আশেপাশে অনেক বাড়ি নির্মাণ করা হয়ে যে বাড়ি গুলোতে যাতায়াতে বনের চারা গাছ বিনষ্ট করে রাস্তা করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
নয়নপুর উত্তর পাড়া বরই বাগান নামক এলাকায় বনের জমি দিয়ে রাস্তা করে দুইটি বাড়ির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।রুদ্রপুর পূর্ব পাড়া সাবেক মমতাজ বেকারির মালিক বাবুল টাকার বিনিময়ে বেনের জমিতে বাগান চারা নষ্ট করে নির্মাণ সামগ্রী রেখে দোকান ও বাড়ির কাজ করেছে।এছাড়াও হোতাপাড়া থেকে রুদ্রপুর রাস্তায় একটু এগুলে হাতের ডানপাশে কুমিল্লা হোটেলের মালিক সোলাইমান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বনের চারাগাছ শরিয়ে বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা নির্মাণ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে বিট কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন,আমি কাউকে এক ইঞ্চি খাস জমি দখল করতে দেইনি।তবে আমার বিট এলাকায় এরকম অসংখ্য জোত জমি আছে যেখানে যাওয়া আশার রাস্তা বনের উপর দিয়ে। সকল জোত জমিতে যদি কেউ বাড়ি ঘড় নির্মাণ করে তাহলে একটু সুযোগ তাদের দেতেই হয়। তবে কারো টিন পাল্টানো বনের জমিতে নির্মাণ সামগ্রী রাখতে দিয়ে কিছু টাকা অবশ্যই নেই।
এতে দোষের কিছু নাই।