

নিজস্ব প্রতিনিধ :
৫ই আগস্ট পর দেশের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এর মধ্য দিয়েই গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে জেগে উঠে ভূমি দস্যুরা। বনের খাস জমি দখল করে বাড়ি ঘর তোলার যেনো এক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মাওনা ভবানীপুর মৌজার ভবানীপুর বিট অফিসের তথ্য মতে ১১.৭২ একর বনভূমির জায়গা দখল হয়ে গিয়েছে। যেখানে প্রায় কয়েক হাজার এর অধিক নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। যারা ঘর গুলো নির্মাণ করেছেন তারা বেশির ভাগই উচ্চ শ্রেণির লোক, ভাড়া দেয়া অথবা বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নির্মাণ করেছেন বাড়ি।
আরেক দল অসাধু লোকজন সুযোগ পেয়ে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নতুন ঘর তৈরি করছেন এবং উচ্চ মূল্যে বনের জায়গা বিক্রি করে দিচ্ছেন। বিট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বন দখল প্রতিরোধে তেমন কোন তৎপরতা না থাকায় দখলদারদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সরজমিনে ভবানীপুর বিট এরিয়ার বানিয়ারচালা হিজড়া পট্টি নামক এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বনের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের প্রায় চার বিঘা জমি দখল করে একাধিক আধা পাক ঘড় এবং একটি দোতলা বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়ে। ইতিপূর্বেও বনের লোকদের যোগ সাজসে এখানে বনের জমি দখল বাণিজ্য হয়েছে। এখন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই এখানে একাধিক বিল্ডিং ঘড় নির্মাণ করা হয়েছে এবং আরো কিছু ঘড়ের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,এই এলাকায় লিটুর মা নামে পরিচিত মৃত নূরুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা খাতুন চার বিঘা বনের জমি প্লট আকারে দুই থেকে পাচঁ লক্ষ্য টাকায় বিক্রি করেছে।প্লট বিক্রিতে তাকে সহযোগিতা করেছে রিফিক নামে এক রাজমিস্ত্রি।সে প্রতি গোন্ডা জমি বিক্রিতে আমেনা খাতুনের কাছ থেকে কমিশন পেয়েছে বিশ হাজার টাকা।আর তাতেই রফিক নিজেও বনের তিন গোন্ডা জমিতে নিমার্ণ করেছে বহুতল ভবন।এছাড়াও সাইফুল নামে এক ব্যক্তিই ভাড়া দেয়ার জন্য এখানে নির্মাণ করেছে ১৭ টি আধা পাকা বাড়ি।এই নির্মিত ঘড় বন বিভাগের উচ্ছেদ ঠেকানোর কথা বলে প্রতি বাড়ি থেকে ৫০ হাজার থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা নেয়া হয়েছে। বন বিভাগ এবং সাংবাদিক ম্যানেজ করার কথা বলে টাকা তুলেছে আমেনা খাতুন নিজেই।এর মধ্যে কোন এক নামধারী সাংবাদিককে নাকি এক লক্ষ্য বিশ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে সকল সাংবাদিক ম্যানেজ করার জন্য। এছাড়াও বনের লোকদেরও টাকা দেয়া হয়েছে কয়েক ধাপে,যে যখন আসছে তখন তাকেই দেয়া হচ্ছে টাকা।এখন শোনা যাচ্ছে এই এরিয়ায় আর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবেনা লিটুর মা নাকি সে ব্যবস্থা করেছে।
এই বিষয়ে সেই রাজমিস্ত্রি রফিক এর সাথে কথা বললে সে জানায়,সকলে লিটুর মার কাছ থেকে জমি নিয়েছে আমিও নিয়ছি।এখানে মোট উনিশটা নতুন বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।জমির দাম ছাড়াও সে আমার কাছ থেকে আরাই লক্ষ্য টাকা নিয়েছে সকলকে ম্যানেজ করার কথা বলে।শুনেছি এক সাংবাদিককে লিটুর মা এক লক্ষ্য টাকা দিয়েছে বাকি টাকা কোথায় কি করেছে আমরা জানিনা।
এ সকল দখল বাণিজ্যের বিষয়ে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা শারমিন আক্তার এর কাছে বক্তব্যের জন্য একাধিক বার মুঠোফোনে কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।