
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-
পটিয়ায় চলাচলের পথ ও বসতভিটে নিয়ে বিরোধের জেরে দু-পক্ষের সংঘর্ষে নুরুল হক (৬৫) নামের নামে এক বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনায় নিজ ছেলের আঘাতেই পিতা নুরুল হকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে নিহতের ছেলে কামাল উদ্দিন প্রতিপক্ষের নূর নাহার বেগমকে কোপ মারতে গিয়ে এক পর্যায়ে তার পিতা নুরুল হকের মাথায় ওই কোপ লেগে মৃত্যু হলেও উল্টো প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে নিরীহ লোকজনকে মিথ্যা হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করা হয়েছে। গত শনিবার পটিয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের রুনা আকতার নামের এক নারী সদস্য এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে রুনা আকতার জানান, পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মাঝের ঘাটা এলাকার এজাহার মিয়া বাড়ির ৫ পরিবারের চলাচল পথটি প্রতিবেশী নুরুল হকের পুত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা কামাল উদ্দীন বেশ কয়েকবার দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে। পটিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় এ কামাল উদ্দিন চলাচল পথ দখল করতে চাইলেও স্থানীয় লোকের বাধার কারণে দখল করতে পারেনি। কিন্তু এ নিয়ে প্রতিবেশীদের সে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিল। অবশেষে গত ৩০ মে পরিকল্পিতভাবে চলাচল পথ দখল করতে সন্ত্রাসী নিয়ে প্রতিবেশীদের উপর হামলা চালায়। কামালের পিতা নুরুল হক প্রথমে প্রতিপক্ষের ফজলুল হককে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এরপর কামাল ও জামাল ফজলুল হককে কুপিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে ফজলুল হকের স্ত্রী নূর নাহার বেগমকে কামাল উদ্দিন রাম দা’র কোপ দিলে তা কামালের পিতা নুরুল হকের মাথায় লাগে। এতে উভয়পক্ষের ৮-১০ জন আহত হয়। স্থানীয় লোকজন আহতদের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসক নুরুল হককে (৬৫) মৃত ঘোষণা করেন। ফজলুল হকের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে ঘটনার পর নিহতের ছেলে জামাল উদ্দীন বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে চাকুরিতে থাকা এমরান কাইছার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিজভী ও এস আর আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে না থাকলেও তাদের হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলায় আসামি করা হয়। রুনা আকতার বলেন, বর্তমানে নিরীহ লোকদের মামলা দিয়ে চলাচল পথটি দখল করে সেখানে ঘর নির্মাণ কাজ করছে। ভুক্তভোগীরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক নিরীহ ব্যক্তিদের মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।

Reporter Name 


















