
টিটু সরকারঃ
গাজীপুরের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সিলেটে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ৩ ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী। জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সিলেট থেকে কুষ্টিয়া মালামাল পাঠানোর জন্য সবুজ নামের একজন পরিবহন মালিকের গাড়িতে ভাড়ার চুক্তিতে মালামাল পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়। গাড়ির ড্রাইভার রাকিব হোসাইন ওরফে আলামিন। সিলেট থেকে মালামাল নিয়ে গাজীপুরের নাওজোড় এলাকার আসকর আলী পাম্পে আসে রাকিব হোসাইন ওরফে আলামিন। রাকিব ভুক্তভোগী ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক কাউসার, নুরুল হক সুজন ও সাব্বিরকে জানায় মাহিদা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি নামক ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির লোকজন তাকে জোরপূর্বক আটকে রেখে মারধর করাসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তাহার নিকট থেকে নগদ ৩৫০০০/- (পয়ত্রিশ) হাজার টাকাসহ গাড়ী থেকে জ্বালানী তেল নামিয়ে রাখে। তখন ড্রাইভার তাদের নিকট থেকে হাতে পায়ে ধরে সেখান থেকে প্রাণভয়ে গাড়ি নিউ ভাই ভাই ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিতে এসে ভুক্তভোগীদের কাছে সাহায্য চাইলে এক পর্যায়ে তারা উক্ত বিবাদীগণের সাথে ড্রাইভারের ব্যবহৃত (০১৩২৫-২৭৪৯৬২) মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করে সিলেটের ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির লোকজনের সাথে কথা বলেন এবং ড্রাইভারের বলা সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন, তবে তারা বিষয়টি অস্বীকার করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীগণ অর্থাৎ কাউসার, নুরুল হক সুজন, সাব্বির, ড্রাইভারকে বলেন তুমি যেহেতু আমাদের এজেন্সির কেউ না তাই আমরা তোমার এই বিষয় নিয়ে আর কোন কথা বলতে চাইনা। তোমাদের বিষয় তোমরা সমাধান কর এই বলিয়া ড্রাইভারকে তাহারা এজেন্সি থেকে বিদায় করিয়া দেয়। ড্রাইভার পরবর্তী সময়ে মালামাল নিয়ে চলে যায়। সিলেট এজেন্সির মালামাল পৌঁছে দেয়ার কথা কুষ্টিয়া কিন্তু ড্রাইভার সে মালামাল কুষ্টিয়া নিয়ে যায়নি। গাড়ির ড্রাইভার রাকিব হোসাইন ওরফে আলামিন গাড়িতে থাকা মালামাল অন্যত্র বিক্রি করে দেয় বলে জানা যায়। সিলেটের মাহিদা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির লোকজন গাজীপুরে এসে ভুক্তভোগী ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক কাউসার, নুরুল হক সুজন ও সাব্বিরের সহযোগিতা চান এবং তারা সব ধরনের সহযোগিতা করতে রাজি হন কারণ উভয়পক্ষ ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক। কিন্তু মাহিদা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির লোকজন কুচক্রী মহলের কুপরামর্শে সিলেট আদালতে ভুক্তভোগী ৩ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার নং ১৭০/২০২৫। ধারা ৪০৬, ৪২০, ৫০৬ দঃবিঃ। মাহিদা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যে গাড়িতে মালামাল পরিবহন করা হয় সেই গাড়ির মালিক কাউসার কিন্তু তথ্য প্রমাণ দিতে বললে তা দিতে ব্যর্থ হন। প্রতিবেদকের কাছে কল রেকর্ড পাঠানোর কথা বলে পরবর্তীতে আর যোগাযোগ করেননি। এদিকে ভুক্তভোগী ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির কাউসার, নুরুল হক সুজন ও সাব্বির অভিযোগ করেন, গাজীপুর থেকে কোন গাড়ি সিলেটে গেলে মাহিদা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির লোকজন গাড়িগুলো আটকিয়ে রেখে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। করিম নামের একজন গাড়ির মালিক জানান, তার গাড়ি মাহিদা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির লোকজন আটকিয়ে রেখেছিলো ২ দিন। ২৫০০০ টাকা খরচ করে থানা পুলিশের সহযোগিতায় তিনি তার গাড়ি ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। সিলেটের মাহিদা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির লোকজনের এসব অপকর্ম বন্ধের বাদি করেন এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীরা।

Reporter Name 

















