শেখ ফজলে রাব্বি:
জামালপুর জেলার সদর উপজেলার বারুয়ামারি বাসিন্দা কিরন আলী। কিরন আলী জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের বাবুর্চীর কাজ করেন।সে সুবাদে তারা হাসপাতাল কোয়াটারে থাকেন।
জানা যায় ,কিরন আলী তিনি নিজেও একটি কেন্দ্রীয় কমিটি করেছেন। তিনি চতুর্থ শ্রেণি কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সাধারন-সম্পাদক।
কিরন আলীর দুই সন্তান ,বড় ছেলে সাকিব।সাকিবের তোতলানোর অভ্যাস রয়েছে। সে একজন মাদ্রাসার ছাত্র।লেখা পড়ায় এতোটা ভালো নয়।ছোট বয়স থেকে সাকিবের নেতা হওয়ার ইচ্ছা !সেই থেকেই তার প্রধান কাজ ছিলো স্থানীয় নেতা এবং এমপিদের সাথে ছবি তোলা পরে ফেইজবুকে আপলোড দেয়া। এটিই ছিল তার প্রতারনার কৌশল।
উল্লেখ্য,কিরন আলী(বাবুর্চীর)ছেলে সাকিব বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম- সাধারন সম্পাদক ডাক্তার দীপু মনির
স্বাক্ষর নকল করে বাংলাদেশ স্কুল ছাত্রসংসদ এই নামে প্রায় ৩৪ টি জেলায় অর্থের বিনিময়ে ভুয়া কমিটি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগের ভিত্তিতে সত্ত্যতা সরুপ সাকিবের ফেইজবুক লাইভে স্বীকার করেছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সাথে একটি ছবি এডিট করে ফেইজবুকে ভাইরালও করেছে।
নাম বলতে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, সাম্প্রতি কিছু দিন থেকে সব সময় দেখা গেছে সাকিবকে প্রাইভেট কারে চলাচল এবং উচ্চ বিলাসী জীবন যাপন করতে।কি তার আয়ের উৎস। টাকা আসে কোথা থেকে?ছোট ছোট ছেলেদের থেকে কমিটির নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এই বিলাসী জীবন যাপন। কত বড়ো বাটপার হলে একজন স্কুলের ছাত্র হয়ে একজন শিক্ষ্যা মন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করতে পারে? জাতি তার কাছে কি আশা করতে পারে!
শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাকিব। ইতিমধ্যে তাকে শহর ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতা কর্মীরা জেলা ছাত্রলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে সহ তার সাথে জরিত ছাত্রলীগের যারা রয়েছে তাদেরকেও শাস্তির আওয়াতায় আনার দাবী জানায়।
এ বিষয়ে সাকিব কে মুঠোফোনে কল করলে তার সাথে কথা বলা যায়নি। মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।